চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

অতিরিক্ত চুল পড়ার কয়েকটি কারণ হতে পারে যেমন ধরেন পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ, হরমোনের কারণে, জেনেটিক্স বা ভারসাম্যহীনতার কারণেও অতিরিক্ত চুল পড়া দেখা দিতে পারে. অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে আমরা নানা ধরনের কেমিকাল জাতীয় কসমেটিক ব্যবহার করে থাকি. তারপরেও আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয় না আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে.

মেথিঃ মেথি ব্যবহারের ফলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক নিথির ব্যবহার কিভাবে করতে হয়। প্রথমে আপনি কিছু মিথি পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং সে মিথ্যেগুলো কয়েক ঘন্টা পর তুলে পিষে পেস্ট করে নিবেন। তারপর সে পেস্ট করা মিথি গুলোর সঙ্গে কিছু নারকেলের তেল মিক্স করে আপনার চুলের গোড়ায় লাগালে অল্প দিনে আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

অ্যালোভেরাঃ চুলের জন্য অ্যালোভেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যালোভেরা রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। যা আমাদের চুল মজবুত করতে সাহায্য করে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে। এলোভেরা ব্যবহার করার নিয়ম। অ্যালোভেরা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অ্যালোভেরার ভিতরে থাকা জেলগুলো বের করতে হবে, তারপর সেই জেলগুলো সঙ্গে কিছু নারকেলের তেল বা অলিভ অয়েল মিক্স করে আপনার চুলে লাগালে খুবই অল্প দিনের চুল পড়া বন্ধ করবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

আমলকিঃ আমলকি চুলের জন্য আয়ুর্বেদিক এর কাজ করে থাকে। আমলকিতে থাকা এন্টিঅক্সাইড এবং ভিটামিন আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আমলকিতে থাকা ভিটামিন আমাদের চুলের ত্বক পরিষ্কার করে থাকে এবং আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। চুল পড়া বন্ধ করায় আমলকির কোন তুলনা নেই। এছাড়া আপনি আমলকির তেল ব্যবহার করলে দূরত্ব সময় আপনার চুল বৃদ্ধি করে।

ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়েরই চুল খুব পছন্দ। বিশেষ করে মেয়েদেরকে লম্বা চুল থাকলে দেখতে সুন্দর লাগে।আর যদি চুল না থাকে তাহলে দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না। সাধারণত মেয়েদের বয়স যখন ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত হয় তখন তাদের চুল পড়া অনেকটা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। আসুন আপনাদের সঙ্গে আজকে মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

তেলঃমেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জানেন না কোন তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয় আর কোন তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয় না। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চুল পড়া তেল গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিক্রেট হেয়ার অয়েল। যা চলে ব্যবহার করলে অল্পতেই আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া চুল পড়া বন্ধ করার জন্য পিওর নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। তোমার নারকেল তেল ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝরা কমে যায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। 

লেবুর রস ও অ্যালোভেরাঃলেবুর রস এবং এলোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সাইড।যা আমাদের চুল পড়া এবং আমাদের মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এক সময় খুশকির কারণে আমাদের চুল পড়া বেশি দেখা দিয়ে থাকে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে লেবুর রস এবং এলোভেরা জেল ব্যবহার করাটা আমাদের জন্য উত্তম। তে আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করে। 

পিয়াজের রসঃ নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস হতে পারে আপনার জন্য একটি প্রাকৃতিক আশীর্বাদ। কারণ পেঁয়াজের রয়েছে এলোপেশিয়া এরিয়াটার যা আমাদের চুল ঝরা বন্দ সহ আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। রস ব্যবহারের ফলে আমাদের নতুন চুল গজা এবং চুল ঝরা অতি দ্রুত বন্ধ করে থাকে। 

মেথিও ডিমঃমেথি এবং ডিম একত্রে মিক্স করে পেশ করে নিয়ে যদি মেয়েরা সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারে তাহলে অতি দ্রুত তাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। 

 চুল পড়া বন্ধ করার ডাক্তারি পরামর্শ মতাবেক বিভিন্ন মেডিকেলের ডাক্তারদের মতে। পুরুষের চুল পড়ার রোদের কোন নির্দিষ্ট উপায় নাই। তবুও কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যেমন ধরেন আপনার লাইফ স্টাইল, সুষম খাদ্য খাওয়া, মাথা মেসেজ করা ইত্যাদি। মহিলাদের ক্ষেত্রে তার উল্টোটা। কারণ মহিলাদের চুল পড়া দেখা দেয় ৩০ থেকে ৪০ বছরের পর থেকে। কারণ এই সময় তারা চুলের কোন ধরনের যত্ন নেয় না। 

ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক নিয়মিত যদি মাথার যত্ন নেওয়া যায় তাহলে মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে থাকে।আবার কিছু আয়ুর্বেদিক বা ঘরোয়া পদ্ধতি তুমি মহিলাদের চুল পড়া রোধ করা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি চুল স্বাস্থ্যের সুরক্ষা রাখতে পারে। চুল পরার যোগ কমানোর জন্য যেমন ধরেন মেথি, নারিকেল তেল, অ্যালোভেরা, আমলকির তেল, পিয়াজের রস ইত্যাদি জিনিস ব্যবহার করে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। 

আরও পরুনঃ

অনেক সময় আমরা দেখি যখন আমাদের চুল পড়া কোন রকমভাবে বন্ধ হয় না তখন আমরা নানান ধরনের জিনিস ব্যবহার করে থাকি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নানান ভিটামিন চুলের জন্য ব্যবহার করে থাকি বা এক্স বের করে থাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কোন কোন ভিটামিন কার্যকরী। ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পড়া দেখা দিয়ে থাকে। 

আমর অনেকে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ভিটামিন খেয়ে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন ভিটামিন খেলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয় সেটা আমরা কেউ জানিনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সবচাইতে উপকারী ভিটামিন কোনটি। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সবচাইতে ভালো এবং উপকারী ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন ই। গবেষণা করে দেখা গেছে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ভিটামিন ই খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। যা আমাদের চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। 

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আদৌ কি এগুলো তেলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয়। বরঞ্চ ভুলভাল তেল ব্যবহার করে আমাদের চুল পড়া আরো বেশি বেড়ে যায়। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে তাদের প্রচার করে থাকে শুধুমাত্র চুল পড়া বন্ধ করা এবং চুল লম্বা করা তেলের। কিন্তু আপনারা কি জানেন এগুলো তেল ব্যবহার করলে আমাদের মাথার ত্বকের কোশ মরে যায় এবং নতুন চুল গজানো তো দূরে থাক চুল ঝরা রোধ করতে পারে না। 

আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল ঝরা বন্ধ করার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু আয়ুর্বেদিক তেলের নাম। যেগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। যেমন ধরেনঃ পিওর নারকেল তেল, অলিভ অয়েল তেল, আমলকি তেল, সিক্রেট হেয়ার অয়েল ইত্যাদি অন্যতম। চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি তেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল শক্ত হবে। 

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য মেথির ব্যবহার এর কোন বিকল্প নেই। কারণ মিডিটে থাকা পুষ্টি আমাদের চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। নীতি ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুলের উজ্জ্বলতা এবং চুল দ্রুত ঝরে পড়া রোধ করে থাকে। নীতি ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুলের নানা ধরনের খুশকি এবং মাথার তেলতেলে ভাব দূর করে থাকে। মাথায় খুশকির কারণে অতিরিক্ত সময় আমাদের চুল ঝরে পড়ে।

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেথি। কারণ মেথিতে থাকা পুষ্টি এবং ভিটামিন ডি আমাদের চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। মেথি ব্যবহার করার নিয়ম হিসেবে প্রথমে আপনাকে কিছু মেথি নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। একদিন পর সেই পানি থেকে নীতিগুলো নিংড়ে আলাদা করে রাখতে হবে এবং মেথিগুলো ভালো করে পিষে পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্ট করা মেথি গুলো সাথে আপনি অল্প কিছু পরিমাণে নারকেলের তেল বা লেবুর রস মিক্স করে আপনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগালে আপনার চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

দ্রুত সময়ে চুল লম্বা করার করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।গরম পানি দিয়ে চুল হলে আমাদের চোরের আদ্রতা কমে যায়। সবসময় চুল ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। 

• লম্বা চুল পেতে হলে নিয়মিত চুলের তেল মালিশ করতে হবে। 
• যাদের চুলের আগা ফাটা সমস্যা আছে তারা ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর একবার করে চুলের আগা ছাড়বে। এতে করে চুলের আগা ফাটা দূর হয় এবং চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
•  চুল বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করতে হবে। 
• চুল ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। 
• চুল স্টাইলিং যন্ত্রপাতি গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলো চুল লম্বা করতে দেই না।
• নিয়মিত চলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে , কারণ শ্যাম্পু আমাদের চুলের ময়লা পরিষ্কার করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

কি কি কারনে অতিরিক্ত চুল পড়ে সে বিষয়ে আপনাদের কাছে সবকিছু খোলাসা করতে যাচ্ছি। কারণ অনেক ধরার সমস্যার কারণে আমাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে।আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে আমাদের অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ে। 

আরও পরুনঃ

• চুলে সঠিক পণ্য ব্যবহার না করার কারণে।
• অতিরিক্ত হিট বা বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে। 
• অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাধার কারণে। 
• ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে। 
• ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানোর কারণে। 
• অতিরিক্ত টেনশনের কারণে। 
• ভিটামিন ডির অভাবে। 
• গর্ভকালীন বা গর্ব অবস্থায় বেশি চুল ঝরে পড়ে। 
• পুষ্টির ঘাটতির কারণে চুল ঝরে পড়ে।
• সর্বশেষ বংশগত কারণে চুল ঝরে পড়ে। 

চুলের খুশকি দূর করার উপায়

আমাদের প্রত্যেকের চুলের সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো চুলে খুশকি সমস্যা। প্রত্যেকটি সমস্যার যেমন সমাধান রয়েছে ঠিক সেরকম খুশকির সমস্যারও সমাধান রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত সময় কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকি দূর করতে পারবেন। খুশকি এমন একটা সমস্যা যা আমাদের বেশিরভাগ সময় শীতকালে দেখা দিয়ে থাকে। 

খুশকি সমস্যার সমাধান তার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অ্যালোভেরা ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তার সাথে মেথি অথবা লেবুর রস রাখতে হবে।কারণ এলোভেরা জেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড যা আমাদের মাথার পুরাতন কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষ গজাতে সহযোগিতা করে।অ্যালোভেরা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অ্যালোভেরা জেল এবং তার সাথে নারকেল তেল অথবা মেথি অথবা লেবুর রস মিস করে নিয়ে আপনার মাথায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে হবে।এবং সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করলে আপনার মাথার খুশকি দূর হবে এবং মাথার চুল ঝকঝকে। 

পরিশেষে বলা যায় যে, দ্রুত চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি আপনি দেখলে বুঝতে পারবেন, আপনার চুল পড়া থেকে শুরু করে নতুন চুল গজানো পর্যন্ত। যত ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে সবকিছু বলা আছে। আরো বলা আছে কি করে মাথার খুশকি দূর করবেন। 

এবং কোন কোন তেল ব্যবহার করলে দ্রুত সময় আপনার চুল বৃদ্ধি হবে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন। একদম ঘরোয়া পদ্ধতি মাধ্যমে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।