দাড়ি গজানোর ঘরোয়া কিছু সহজ পদ্ধতি


দাড়ি সাধারণত পুরুষ মানুষের মুখের একটি বানান। দাড়ি না গজানোর কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। প্রতিটি মানুষের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোন থাকে, অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের কারণে আমাদের মুখের দাড়ি, বুকের লোম গজায়। আমাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের থাকলে দাড়ি ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক সামগ্রীর ব্যবহার করে দাড়ি গজানোর জন্য চেষ্টা চালানো যায়, তবে এই সামগ্রী গুলোর পাসে প্রক্রিয়া পরে দেখতে পাওয়া যায়।


দাড়ি গজানোর ঘরোয়া কিছু সহজ পদ্ধতি

  • নির্দিষ্ট আকারে দাড়ি ছাটুন
  • পিয়াজের রস ব্যবহার করুন
  • হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
  • মুখ মাস্যজ  করুন
  • মুখে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা
  • দাড়ি ঘন করার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা
আই খানে যে কইটি মাধ্যম দেখান হইছে সব গলা দাড়ি গজানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি কারো জন্মগতভাবে দাড়ি না বের হয় তার জন্য কিছুই করার নেই। আর যদি আপনার দাড়ি হালকা-পাতলা বের হয়ে থাকে, তাহলে আপনি  উপরে দেওয়া মাধ্যমগুলো রেগুলার ফলো করতে পারেন।

1.নির্দিষ্ট আকারে দাড়ি ছাটুন

আমরা অনেক সময় দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে ক্রিম সেভ করে থাকি, ক্রিম শেভ করার মাধ্যমে আমরা ভাবি আমাদের মুখে নতুন দাড়ি গজাবে। কিন্তু না, ক্রিম সেভ করলে আপনার মুখের নতুন কোর্সগুলো মরে যাই ,এতে করে আপনার নতুন দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা থাকে না। তাই নির্দিষ্ট আকারে দাড়ি ছাটাই করতে হবে। আপনি সাধারণত ২ থেকে শীত.৩ সপ্তাহ পরপর দাড়ি ছাঁটাই করবেন। এতে করে আপনার মুখের কোষ বৃদ্ধি পাবে, আর নতুন দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে।পিয়াজের রস ব্যবহার করুন

2.পিয়াজের রস ব্যবহার করুন

আমাদের চারপাশে প্রায় সকল পুরুষেরই দাড়ি দেখতে পাওয়া যায়, কারো কম বা কারো অনেক বেশি। যাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেশি থাকে তাদের চাপ দাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। আর যাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন কম থাকে, তাদের দাড়ি সীমিত আকার দেখতে পাওয়া যায়। আপনার যদি সীমিত আকারে দাড়ি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি রেগুলার পেঁয়াজের রস আপনার যে যে স্থানে দাড়ি নেই সেই সেই স্থানে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা অনেকটা বেশি থাকে। দাড়ি গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে ব্যবহার করতপারেন।

3.হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে আপনার মুখের ময়লা দূর হবে, এতে করে আপনার মুখে নতুন কোষ তৈরি হবে। মুখে দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে।

4.মুখ মাস্যজ করুন

প্রতিদিন মুখে মাস্যজ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, এবং মুখে নতুন দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ২থেকে ১মাস্যজ করা জরুরী।

5.মুখে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা

অ্যালোভেরা জেল দাড়ি গজানোর জন্য খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে আপনার মুখের পুরাতন মৃত কোষগুলো দূর করে এবং মুখের নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখের দাড়ি ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।

6.দাড়ি ঘন করার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা

দাড়ি ঘন করার জন্য অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অলিভ অয়েল সেবন করলে শুধু দাড়ি ঘনই না, দাড়ি মসৃণও করে এবং মুখের মৃতকোষ দূর করে নতুন কোষ সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।  তাই দাড়ি ঘন করার জন্য অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম আইটি ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url