ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

 

ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার শীর্ষ পাঁচ দেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হোক। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পড়াশোনা করার জন্য ইউরোপে পাড়ি দিয়ে থাকে স্টুডেন্টরা। ইউরোপের দেশগুলোতে পড়াশোনার মান ভালো থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ছাত্ররা এপ্লাই করে থাকে।স্টুডেন্ট ভিসায় শীর্ষ পাঁচ দেশ সম্পর্কে আমাদের না জানা নয়। সাধারণত ইউরোপের দেশগুলোতে উন্নত পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্টরা দিয়ে থাকে।

shamim


পেজ সূচিপত্রঃ

স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

ইউরোপের দেশগুলোতে সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ইউরোপের যে কোন একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পরে আপনাকে আপনার যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। কাগজ পাতি সংগ্রহ শেষে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পরে আপনাকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির লেটার এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট লেটার জমা দিতে হবে।

এগুলো জমা দেওয়ার পরে , আপনাকে ক্যান্সল্যান্ড সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে এবং তারিখ দেওয়া হবে। সে তারিখে আপনি তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং সাক্ষাৎ করা শেষে আপনার স্টুডেন্ট ভিসাটি সফলভাবে পাবেন।

স্টুডেন্ট ভিসার যাবতীয় কাগজ পত্র

আপনি ইউরোপে দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার যেগুলো কাগজপত্র প্রয়োজন, সে কাগজ গুলি সম্পর্কে আজ আপনাদের কাছে বিস্তারিত আলোচনা করব।
  1. পূর্ণ আবেদন ফরম
  2. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি
  3. আর্থিক সহায়তা প্রমাণ সার্টিফিকেট
  4. স্বাস্থ্য বীমা
  5. প্রবেশপত্র
  6. আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  7. ফটোগ্রাফ
স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের দেশগুলোতে আবেদন করার জন্য, উপরের কাগজপত্র গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এই কাগজগুলো সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা ইউরোপের কোন দেশে যেতে পারবেন না।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যেগুলো দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যায় সে দেশগুলোর তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলোঃ
  • ফ্রান্স
  • স্পেন 
  • পর্তুগাল
  • ইতালি
  • গ্রীস 
  •  নেদারল্যান্ড
  • আলবেনিয়া
  • মালটা
  • মরক্কো
  • উত্তর সেমিডোনিয়া
  •  ফিংল্যান্ড
  • আইসল্যান্ড
  • হাঙ্গেরি
  • অস্ট্রেলিয়া 
  • বুলগেরিয়া
  • পোল্যান্ড
  • বেলজিয়াম
  • ডেনমার্ক
  • সান মেরিন
  • সার্বিয়া
  • আয়ারল্যান্ড
  • নরওয়ে
  • রাশিয়া
  • মন্টি নিগ্রো
  • রোমানিয়া
  • জার্মানি
  • সাইপ্রাস
ইত্যাদি যে দেশগুলোর তালিকা দেওয়া হলো, এছাড়া আরো দেশ আছে যেগুলোতে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারেন, এই দেশগুলোতে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

ইউরোপে স্টুডেন্টে ভিসা যাওয়ার কাগজপত্র

স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে, ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আসুন স্টুডেন্ট ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য যেগুলো কাগজ পাতি প্রয়োজন তার সম্পর্কে আপনাদের আলোচনা করি।
  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট 
  •  ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া অফার লেটার
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রমাণ পত্র
  • স্বাস্থ্য বীমা কাগজপত্র
  • আবাসনের জন্য বুকিং কনফার্মেশন
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ইত্যাদি কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনি ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপিল করতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।

ইউরোপের শিক্ষার মান

আপনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে শিক্ষার মান অনেক উন্নত থাকায় বাইরের দেশগুলো থেকে পড়াশোনার জন্য ইউরোপে আবেদন করে থাকে। ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্টুডেন্টদেরকে ইউরোপের ইনভারসিটি গুলোতে ভর্তি করা হয়ে থাকে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের থাকার সুবিধা অনেক উন্নত।

ইউরোপে যে কোন দেশ থেকে আপনি পোষ্ট কমপ্লিট করে আসার পরে আপনার চাকরি কনফার্ম হয়ে যায়। কারণ তাদের দেশের শিক্ষা আমাদের দেশের শিক্ষার তুলনায় অনেক উন্নত, এবং তাদের ব্যবহার অনেক ভালো, ইউরোপে সাধারণত আপনি চাকরির জন্য কি কি ভাবে এপ্লাই করলে ভালো হয় এবং ইন্টারভিউ দিতে যাবতীয় নিয়ম কানুন গুলো আপনাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়।

ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স

ইউরোপের দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্পেন ।স্পেনের শিক্ষার মান অনেক বেশি ভালো, আর যারা বাহিরের দেশ থেকে স্পেনে পড়াশোনা করতে আসে তারা খুব সহজে  নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্পেনের কালচারগুলোর সাথে তারা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।

shamim


ইউরোপে যে কোন দেশের আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান তাহলে খুব সহজে আপনি তাদের কালচার এবং তাদের লোকজনদের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কোষ করে আসার পরে আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গায় একটি চাকরি পেয়ে যাবেন। কারণ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সবকিছু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এবং তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়ে থাকে।

ছাত্রদের কাজের সুবিধা

ইউরোপের দেশগুলোতে সাধারণত আপনি যদি পড়াশোনা করতে চান, তাহলে পড়াশোনার ফাঁকে আপনি কাজ কাম করে চলতে পারেন। ইউরোপে দেশগুলোতে এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।
  1. নিরাপত্তাঃ পোল্যান্ড একটি নিরাপত্তা দেশ
  2. সাংস্কৃতি ও ঐতিহাস্যঃ ইউরোপের দেশগুলোর সাংস্কৃতির সাথে আপনি নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
  3. কাজের সুযোগঃ বাইরে স্টুডেন্ট গুলো কাজের সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়ে থাকে.
  4. উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাঃ উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে, বা এশিয়ার দেশগুলো থেকে ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে যায়।
  5. স্বল্প ব্যয়ঃ ইউরোপের দেশগুলোতে স্বল্পভাবে পড়াশোনা করা যায়। ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশে বাসি স্থান, পরিবহন এবং খাদ্য দাম সীমিত।

ইউরোপে নাগরিক ত্ব পাওয়ার সুযোগ

ইউরোপের কোন কোন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি সে কথা জানার ইচ্ছে আমাদের সকলের থেকে থাকে। আর ইউরোপের দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন প্রায় কম বেশি সবারই থাকে। ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত যে দেশগুলো রয়েছে এবং সে দেশগুলোর ভিসা পেতে ২৭ দেশে বিনা ভিসায় আপনি যেতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকার জন্য অধিকাংশ মানুষ ইউরোপের দেশগুলো পছন্দ করে নেয়। আর নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনেকে অনেক ভাবে চেষ্টা করে থাকে। যদিও এই দেশগুলো নাগরিকত্ব পাওয়া অনেকটা কঠিন সবার জন্য। তবে অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যাই।

আপনার যদি শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেগুলো দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এছাড়াও আপনার জীবন যাত্রার মান, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সুযোগ , এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকার জন্য প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে মানুষ পাড়ি দিয়ে থাকে। ইউরোপের দেশগুলোতে জীবনযাত্রার অনেকটা বেশি উন্নত।

ইউরোপের দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সাধারণত ব্লু কার্ড প্রয়োজন। গ্লুকাট পাওয়ার জন্য আপনাকে ইউরোপের দেশগুলোর আবেদন করতে হবে, আবেদন করা শেষ হলে আপনাকে তারা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এবং কি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে যদি আপনি তাদের সঠিক উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনাকে ব্লু কার্ড দেওয়া হবে। ব্লু কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে আপনি ইউরোপের যেকোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের শীর্ষ ৫টি দেশ

স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের দেশগুলো শীর্ষ পাঁচটি দেশ সম্পর্কে আপনাদের কাছে আলোচনা করা হলোঃ
shamim


জার্মানি

জার্মানিতে সাধারণত স্টুডেন্ট পাওয়া খুবই সহজ এবং প্রত্যেক বছর জার্মানিতে স্টুডেন্টদের জন্য অনেক সুবিধা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। আর জার্মানির কালচারের সাথে প্রায় সব দেশের মানুষ এবং স্টুডেন্টরা নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

নেদারল্যান্ড

নেদারল্যান্ড সাধারণত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ছাত্র এবং ছাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য  আধুনিক সুবিধা রয়েছে। নেদারল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যতমনের হাওয়ায় প্রত্যেক বছর নেদারল্যান্ডে হাজার হাজার স্টুডেন্ট পড়াশোনা জন্য আবেদন করে থাকে। নেদারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো থাকায় অনেক স্টুডেন্ট পড়াশোনার জন্য পাড়ি জামাই।

পোল্যান্ড

পোল্যান্ড সাধারণত অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি দেশ। পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অপরুপ সৌন্দর্য সারা বিশ্বের স্টুডেন্টদের নজর কাটে। পোল্যান্ডেরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চ শিক্ষার জন্য উপলক্ষে বিশ্ব বিখ্যাত করে তোলে। সাধারণত প্রত্যেক বছর হাজার হাজার স্টুডেন্ট পড়াশোনা করার জন্য বাড়ি যাওয়ায়। উন্নত শিক্ষা কোর্স পাওয়ার সুযোগ থাকায় পোল্যান্ডে স্টুডেন্টরা ভর্তি হয়ে থাকে।

ফিনল্যান্ড

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ড প্রতিবছর লাখ লাখ স্টুডেন্ট তাদের নিজের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ সুবিধা করে দিয়ে থাকে। ফিনল্যান্ড মানুষের আচার-আচরণ এবং তাদের কালচারের সাথে প্রায় সব দেশের স্টুডেন্টরা নিজেকে খাপ খেয়ে নিতে পারে। আর উচ্চ শিক্ষার মান থাকায় ফিনল্যান্ডে প্রত্যেক বছর লাখ লাখ স্টুডেন্ট তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে থাকে।

স্পেন

অপরূপ সৌন্দর্যের আরো একটি দেশ স্পেন, স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান ভালো থাকায় প্রায় সব দেশ থেকে স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে থাকে। স্পেনের স্টুডেন্টদের জন্য অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, তাই প্রত্যেক বছর স্পেন স্টুডেন্টরা যাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে। স্পেনের খাবার সারা বিশ্বে বিখ্যাত হওয়ার জন্য, এবং স্টুডেন্টরা অল্প করেছে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।

 শেষ কথাঃ

আমার মতামত অনুযায় আপনি যদি ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনি উপরের দেওয়া টিপস গুলো অনুসরণ করবেন। উপরে দেওয়া টিপসগুলোতে আপনার যাবতীয় সবকিছু তুলে ধরা হলো। আর আপনি শীর্.৫ দেশের মধ্যে যে কোন একটিতে আবেদন করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামিম আইটি ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url