দ্রুত সময়ে ওজন বৃদ্ধির উপায়
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির সহজ উপায় ,অল্প সময়ে কি করে ওজন বৃদ্ধি করবেন সেই
সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আমরা যারা চিকন মানুষ আছি তারা সবসময় চায় আমাদের
ওজন বৃদ্ধি করতে। আর যারা মোটা মানুষ আছে তারা চায় তাদের ওজন কমে যাক।
মোটকথা হলো
অল্প সময় ওজন বৃদ্ধির সহজ উপায় কি সে সম্পর্কে জানা যাক। আর কম ওজন থাকলে শরীরে
অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায, শরীর দুর্বল
হযে পরে,শরীরে পুষ্টির ওভাব দেখা দেই।
পেজ সূচিপত্রঃ
- বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার
- বার বার খাবার খাওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- হেলদি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
- আপনার ঘুম ঠিক রাখতে হবে
- ফাইবার যুক্ত খাবারের তালিকা
- খাবারের রুটিন ঠিক রাখতে হবে
- হজম শক্তি ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
- ওজন বাড়ানোর খাবার গুলো তালিকা
- ওজন কমানোর অভ্যাসগুলো বাদ দিন
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির সহজ উপায়
ওজন বাড়ানোর লক্ষণ কেমন হওয়া উচিত তা আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ আপনার
ওজন কমে গেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বেঁধি দেখা দেয়। আপনি যখন ওজন
বাড়াতে চাইছেন তখন লক্ষ্য করা উচিত পেশি ও স্বাস্থ্যবান শরীর তৈরি করা। এমন
খাবার খাওয়া দরকার যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং আপনার শরীর
ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেতে হবে যাতে করে অল্প সময়ে ওজন
বৃদ্ধি করা যায়।
কেউ যদি ঠিক মতো শরীরের ওজন বাড়াতে পারে তাহলে শরীরে শক্তি বেড়ে যাই। শরীরের
পেশি মজবুত হয়,আর সার্বিকভাবে সুস্থতা অনুভব হয়।
বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির সহজ উপায় হল ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা। সাধারণত
আমরা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ক্যালোরি যুক্ত খাবার কম খেয়ে থাকে কিন্তু ওজন
বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটার উল্টা করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনাকে ক্যালোরি যুক্ত
খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করতে
চান তাহলে আপনাকে ডেইলি রুটিন অনুযায় ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। আর
আপনি যদি আস্তে আস্তে ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি ডেইলি রুটিন অনুযায়ী ৩০০
থেকে ৪০০ ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের শরীরের প্রতিনিয়ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী কারণ ক্যালরিযুক্ত
খাবার গ্রহণ না করলে আমরা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারব না। অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির
জন্য সহজ উপায় হল ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া।
বার বার খাবার খাওয়া
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি মানুষকে বারবার খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনি
সাধারণত ওজন বৃদ্ধির জন্য ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাবেন। প্রতিটি মানুষ তার নিজের
ওজন বৃদ্ধির জন্য সাধারণত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকে, পুষ্টিকর খাবারের সাথে
সাথে ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনি যখন বারবার খাবার খাবেন তখন
আপনাকে ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। খাবারের তালিকাঃ
ক্যালোরি যুক্ত খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেমনঃ সাদা ভাত, ২০০-২৯০
পরিমাণ ক্যালরি থাকে। লাল চালের ভাত,২১৮ ক্যালোরি থাকে। চিকেন বিরানি, মুগের
ডালের খিচুড়ি সবজি বিরিয়ানি, সাদা পাউরুটি, চালের রুটি, দুধ, শ্যামল মাছ, গরুর
মাংস,রুট বিট, আলু,মাখন ইত্যাদি। প্রায় সব ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি
থাকে তাই বারবার যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন বৃদ্ধির সহজ একটি উপায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর ঠিক থাকে। আর আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমানে
পানি পান না করতে পারেন তাহলে আপনার শরীর ঠিক থাকবে না। আর দ্রুত ওজন বৃদ্ধির
কারণ হলো পর্যক্ত পরিমাণে পানি পান করা। আমরা প্রতিটি মানুষ পানি পান না করে
থাকতে পারবো না। পানির অপর নাম জীবন বলে থাকি। পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B ও
C থাকে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি পান করতে পারেন, তাহলে আপনি অল্প সময়ে ওজন
বৃদ্ধি করতে পারেন। সাধারণত একটি মানুষ আট দিনের বেশি পানি পান না করে বাঁচতে
পারে না।
সকল খাবারের সাথে সাথে পানি খাওয়াটা জরুরী পানি পান করলে আপনি শরীরের ক্লান্তি
দূর হয়। আপনি যদি মানসিকভাবে প্রশান্তি না পান কিংবা ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাহলে
আপনার ওজন কিভাবে বৃদ্ধি হবে। তাই পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করা আমাদের সকলের
জন্য জরুরী।
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন
আমাদের প্রতিটি মানুষের শরীর ফিট রাখার জন্য এবং দ্রুত সময় ওজন কমানো এবং
পাঠানোর জন্য ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করলে শুধু সাধারণত শরীর ফিট থাকে
না তার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বাড়াতে বৃদ্ধি করে। প্রত্যেকটি মানুষ
সকাল এবং বিকাল যদি ব্যায়াম করে থাকে তাহলে খুব অল্প সময় সে সব ধরনের
অসুখ-বিসুখ এবং শরীরটাকে ঠিক রাখতে পারবে। দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম
করাটা জরুরী।
ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানুষের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে, একজন রোগাটে মানুষ যদি
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারে বা জিম করে থাকে তাহলে সে কয়েক মাসের মধ্যে
তার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। শুধু ব্যায়ামের করলে হবে না ব্যায়ামের পাশাপাশি
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবার এবং পুষ্টিকর
খাবার খাওয়া জরুরী।
হেলদি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
আমরা প্রতিদিন যে খাবার খেয়ে থাকি তা কি হেলদি স্বাস্থ্যকর খাবার তার সম্পর্কে আমাদের জানাটা জরুরী।সাধারণত আমরা যেগুলো খাবার পছন্দ করে থাকি তা আমাদের শরীর
এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে থাকে।আজকের আধুনিক যুগে বিশ্বে আমরা যে সব ধরনের
খাবার খেয়ে থাকি সে খাবার গুলো সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানা উচিত । এই
দ্রুতগতির বিশ্বে আমাদের চারপাশের আমরা সাধারণত লোভনীয় খাবারগুলো পছন্দ করে
থাকে। হেলদি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জানানো যাক
- শাকসবজি:আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খায়। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, ও ফাইবার আছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। সবুজ শাকসবজি প্রতিদিন নিয়মিত খেলে দুটো সময় আপনার ওজন বৃদ্ধির কাজ করে, এবং আপনার শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- প্রোটিনযুক্ত খাবার :আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী, দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী।
- মাছ:সাধারণত তেলযুক্ত মাছ আমাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তেল যুক্ত মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটী আ্যসিডে পরিপূর্ণ। ভাই সব ধরনের মাছ আমাদের খাবারের তারিখের প্রতিদিন থাকে। তেল যুক্ত মাছ গুলো আমাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী
- ডিম: একটি পরিপূর্ণ প্রোটিন এর উৎস,যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আ্যমিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে।এবং এতে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি রয়েছে।
- ডাল:মসুর ডাল, মুকুট ডাল আর অন্যান্য ডাল প্রোটিনের একটি উৎস। ডাল জাতীয় খাবার সাধারণত হজম শক্তি বৃদ্ধি করার কাজ করে ওজন বৃদ্ধির কাজ করে।
ফলমূল
- কমলালেবুঃমালটা এবং বিভিন্ন যাতে লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে।
- পেঁপেঃসাধারণত আমাদের দেশীয় ফল পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- আপেলঃএকটি পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফল।আপেলে ফাইবার ভিটামিন সি ও আন্টি অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে।যা আমাদের হৃদরোগের ঝুড়ি কমায়।
- ব্রাউন রাইসঃ বা বাদানি চাল যা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ওটসঃওটসে বিটা নামক শস্যটিতে ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল ও হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে যা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- কুইনোয়াঃএকটি পরিপূর্ণ প্রোটিনে এর উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে। এটা খেলে অল্প সময় ওজন বৃদ্ধি করা যায়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার, দুধ খেলে শরীরের পেশী বৃদ্ধি পায় এবং ওজন
বাড়াতে বৃদ্ধি করে। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
দই একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার দই খেলে হজম শক্তি বাড়ায়। দই খাওয়ার মাধ্যমে
মানুষের মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয় এবং ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী।
আপনার ঘুম ঠিক রাখতে হবে
ওজন বৃদ্ধির জন্য ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার যদিও প্রতিদিন ঘুম কম
পরিমাণে হয় তাহলে আপনার ওজন কমে যায়। ওজন বাড়ানোর জন্য ঘুম একটি ওষুধের কাজ
করে, দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য আমাদের সকলকে প্রতিদিন গড়ে ৮থেকে ৯ঘন্টা ঘুমাতে
হবে।আপনাকে রুটিন করে ঘুম আসতে হবে। আপনি দৈনিক ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমাতে পারলে
আপনার শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আমরা প্রতিদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকি, এই ব্যস্ততার মধ্যে মানসিক প্রশান্তির
জন্য ঘুম আমাদের শরীরের আয়ুর্বেদিক এর কাজ করে। ঘুম আসলে শরীর নিয়মিত রক্ত
সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে রক্তের হিমোগ্লেমিন ক্ষমতা যোগায়। দ্রুত
ওজন বৃদ্ধির জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইবার যুক্ত খাবারের তালিকা
ফাইবার যুক্ত খাবার কি সেটা আগে আমাদেরকে জানতে হবে। ফাইবার যুক্ত খাবার
সাধারণত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যা আমাদের হজম শক্তির ক্ষমতা কমায়। ফাইবা
যুক্ত খাবার আমাদের মানব দেহের জন্য হজম শক্তি কমালেও ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। ফাইবার যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করা
হলোঃ
ফাইবার যুক্ত খাবার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে ১। দ্রব্য নিয়ম খাওয়ার ২।
অদব্য নিয়ম খাবার।
দ্রব্য নিওখাবার
এই ধরনের খাবার খেলে ফাইবার পানিতে মিশে জেল পদার্থে পরিণত হয় ফলে হজম করার
ক্ষমতা কমে যায়, পেট অনেকক্ষণ ধরে ভরা রাখে। দ্রব্য নিয়ো ফাইবার জাতীয়
খাবারের কিছু উৎস উপস্থাপন করা হলোঃ
- ডাল
- ফলমূল
- শাকসবজি
- অটোস ও বালি
- মটরশুটি
- সিম ও বিন জাতীয় খাবার
অদব্য নিও খাবার
অদব্য নিও খাবার সাধারণত খাবার পানিতে মিশে যায় না। অদব্যনিও খাবার খেলে হজম
শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। অদব্য নিয়ে খাবার ফাইবারের
পানি শোষণ করে এবং পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে।
- লালাটা
- বাদাম
- খোসা ও বিচি সহ ফল সবজি
- পূর্ণ শস্য বা হোল গাইন খাবার
ফাইবার জাতীয় খাবারের উপকারিতা
সুস্থ থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন, ফাইবার
আমাদের দেহের ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফাইবা জাতীয় খাবারের
উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
- ব্লাড সুগার ম্যানেজমেন্ট করে
- কোলেস্টেরল হা্স বৃদ্ধি করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে
- খাবারের রুটিন ঠিক রাখতে হবে
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। আর আপনি যদি অল্প সময়ে ওজন
বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে রুটিন করে খাবার খেতে হবে। আপনি যদি রুটিন
অনুযায়ী খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবারের তালিকা করে আপনাকে প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী খাবার খেতে হবে,
আসুন জেনে নেওয়া যাক রুটিন অনুযায়ী খাবারের তালিকাঃ
সকালের নাস্তা
দ্রুত সময়েওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তা তালিকায় যে খাবারগুলো থাকা জরুরী
সেগুলো হলো দুধ,কলা,ডিম,খেজুর।এই খাবারগুলো আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে
সাহায্য করে। এবং দ্রুত সময় আপনার ওজন বৃদ্ধি করে।
দুপুরের খাবার
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য দুপুরের খাবারের তালিকা অনুযায়ী, ডাল হতে পারে
পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আমিষ রয়েছে। এছাড়া
মুরগির, গরু,খাসির মাংস।এ ধরনের খাবারগুলোতে আইরন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ
বিভিন্ন পুষ্টিতে ভর পুর এ খাবার গুলো। দুপুরের খাবার রুটিন অনুযায় এই
খাবারগুলোর সাথে আপনি যদি টক দই একজাস্ট করে খেতে পারেন, তাহলে দ্রুত সময় ওজন
বৃদ্ধির কাজে সাহায্য করে থাকে।
রাতের খাবার
দুপুরে যে খাবার গুলো রয়েছে, আপনি রাতেও সেই খাবারগুলো খেতে পারেন। কার সঙ্গে
আপনি কিছু খাবার জয়েন করতে পারেন যেমন ধরেন বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম,
কাঠবাদাম, চিনা বাদাম ইত্যাদি। রাতের খাবারের তালিকা সাথে কিসমিস, বিভিন্ন
ধরনের বীজ ইত্যাদি একসঙ্গে খেলে ভালো হয়। তে করে দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির কাজে
সহযোগিতা করে।
বাদাম,কিসমিস,বিভিন্ন ধরনের বীজ
বাদাম কিসমিস ও বিভিন্ন ধরনের বীজ এই ধরনের খাবার গুলো আপনার পেটের উপকারী পোকা
গুলোকে সুস্থ রাখে। আর আপনার পেটের উপকারী পোকা গুলো যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনি
শরীরে সুস্থ থাকবে। আর এই জাতীয় খাবার গুলো আমাদের সকলের উচিত রুটিন অনুযায়ী
খাবার খাওয়া। এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও পুষ্টি রয়েছে আমাদের
শরীরের চিনির চাহিদা পূরণ করে থাকে।
চাল, আটা, ভুট্টা ও দানাদার খাবার
এই ধরনের খাবারে আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। দৈনিক বেঁচে থাকার
জন্য আমরা সাধারণত এই ধরনের খাবার খেয়ে থাকি, এই ধরনের খাবারের প্রচুর পরিমাণে
ক্যালরি ও প্রোটিন পাওয়া যায়।
শাক সবজি
আমরা ছোটবেলা থেকে কবিতায় পড়ে আসছি শাকসবজি খেলে শরীর স্বাস্থ্য হেলদি থাকে।
শাক সবজির মধ্যে লাল শাক, কচু শাক, পুইশাক, ডাল, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালরি পাওয়া যায়। তাই আপনাকে গড়ে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি খাওয়া
দরকার।
আমিষ
আমাদের প্রতিদিন খাবার রুটিন আমিষ জাতীয় খাবার থেকেই থাকে , অন্যান্য দনে
তুলনায় আমি জাতীয় খাবার বর্তমান সময়ে প্রায় সব বাড়িতে পাওয়া যায় আমি
জাতীয় খাবার খেলে আপনি শরীরের মাংসপেশি বৃদ্ধি পায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে। আমিষ জাতীয় খাবারের মধ্যে ডিম, মাছ মাংস ইত্যাদি অন্যতম।
ডাল জাতীয় খাবার
ডাল জাতীয় খাবার খেলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়ায়, এতে করে আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
দুধ
দুধ আমরা প্রায় প্রতিদিন খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা জানি না দুধে কি পরিমাণে
পুষ্টি থাকে। বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা অনুসারে দুধে ৩৫০ থেকে ৪৫০ পরিমাণে পুষ্টিগুণ
রয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসা বিদ্যা অনুসারে প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম থেকে৬০০ গ্রাম দুধ
পান করা দরকার।
ফলমূল
ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের দৈনিক জীবনের সকল পুষ্টি চাহিদা
পূরণ করতে পারে। আমাদের খাবারের তালিকায় ফলমূল প্রতিদিনই থাকে, কিন্তু আমরা
জানি না ফলমূলের কি পরিমাণে ভিটামিন এবং পাসফরাস রয়েছে। ডাক্তারের চিকিৎসা
অনুসারে আপনাকে ডেইলি ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম ফল খেতে হবে। এতে করে আপনার
অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির কাজে সহযোগিতা করবে।
সুগার
আমাদের শরীরের সুগার জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের
শরীরের সুগার থাকা জরুরী, আপনি যদি সুগার জাতীয় খাবার না খেয়ে থাকেন তাহলে
আপনার শরীরে পুষ্টি স্বল্পতা দেখা দিবে এবং আপনার বিভিন্ন ধরনের অসুখের দেখা
দিতে পারে। তাই সুগার জাতীয় খাবার খাওয়া আমাদের জন্য আবশ্যক।
উপরে যে খাবার গুলোর তালিকা দেওয়া হলো এই খাবারগুলো রুটিন অনুযায়ী খেলে আপনি
দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধির উৎস হিসেবে
কাজ করে থাকে। তাই ডেইলি রুটিন করে এই জাতীয় খাবারগুলো খাওয়া জরুরী।
হজম শক্তি ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
আপনাকে শুধু খাবার খেলে হবে না আপনার যেন হজম শক্তি বাড়ায় সেই ধরনের খাবার
খেতে হবে। আপনার বিভিন্ন ধরনের খাবার আছে যেগুলো খেলে আপনার হজম শক্তি কমায়
এবং দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরা রাখে। আপনার যেন হজম শক্তি ঠিক ভাবে কাজ করে সেই
দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরী। দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার যদি হজম শক্তি
বেশি থাকে তাহলে আপনি ঘন ঘন খাবার খেতে পারবেন। আপনি যদি ঘনঘন খাবার খেতে পারেন
তাহলে আপনার পুষ্টি স্বল্পতা দেখা দিবে না এবং সব ধরনের খাবারে পুষ্টি নিতে
পারেন।
দুধ জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে হজম শক্তি থাকে, যা আপনার শরীর ফিট রাখতে এবং
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। দুধ জাতীয় খাবারে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ
ভরপুর থাকে। দুধ জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো দুই, । আপনি যদি রেগুলার দই
খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝবেন কি পরিমানে হজম শক্তি বাড়ায়। তাই আপনার শরীরের
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিগুণ জাতীয় খাবার এবং হজম শক্তি বাড়ায় সেই
ধরনের খাবার খাওয়া জরুরী।
ওজন বাড়ানোর খাবার গুলো তালিকা
সকালে খাবারে যেগুলো খাবেন
- ১কাপ দুধ ২৪৪ গ্রাম-১৪৬ক্যালোরি
- ১টা কলা ১১৮ গ্রাম -১০৫ক্যালোরি
- ১টা ডিম ৫০ গ্রাম ৭১ক্যালোরি
- ১০০গ্রাম খেজুর -২৭৭ক্যালোরি
- দুপুরের খাবারের তালিকা যেগুলো থাকবে
- ১কাপ রান্না করা ডাল ১৯৮ গ্রাম -২৩০ক্যালোরি
- ১কাপ টক দই ২৫০ গ্রাম -১৫০ক্যালোরি
- ১০০গ্রাম মুরগির মাংস -১৮০ক্যালোরি
বাদামো ও কিসমিস
- ১আউন্স কাঠবাদাম ২৮.৩৫ গ্রাম১৫৭ ক্যালোরি
- ১আউন্স কাঠবাদাম২৮.৩৫ গ্রাম ১৬৪ক্যালোরি
- ১আউন্স চিনা বাদাম ২৮.৩৫গ্রাম ১৫৯ক্যালোরি
- ১আউন্স পস্তাবাদাম ২৮.৩৫গ্রাম১৬১ ক্যালোরি
- ১আউন্স কিসমিস২৮.৩৫ গ্রাম ৮৪.৮ক্যালোরি
বীজ
- ১আউন্স মিষ্টিকুমড়ার বীজ২৮.৩০গ্রাম ১৬০ক্যালোরি
- ১আউন্স সূর্যমুখী বীজ২৮.৩০গ্রাম ১৭০ক্যালোরি
১আউন্স তিলের বীজ ২৮.৩০গ্রাম ১৬০ক্যালোরি
উপরের দেওয়া খাবারের তালিকা গুলো অনুযায়ী আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে
আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। আর দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির
জন্য এই খাবারের তালিকা গুলো আপনি অনুসরণ করতে পারেন। এই খাবারের তালিকাতে
আপনার কোন খাবার কি পরিমানে ক্যালোরি আছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত ভালোভাবে
জানানো হলো। আশা করি দেওয়া রুটিন অনুযায়ী খাবার অনুসরণ করে খাবেন এবং অল্প
সময়ে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ওজন কমানোর অভ্যাসগুলো বাদ দিন
দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে পাঁচটি অভ্যাস চেঞ্জ করতে হবে,
অভ্যাসগুলো যদি দ্রুত সময় পরিবর্তন করে থাকেন তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে
আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন।এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
শরীরচরচার অভ্যাস
নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে হজম শক্তি কমে যায় এতে আমাদের শরীরের ক্যালরি কম
ঝরে।অল্প সময়ে ওজনের বৃদ্ধি পায়।
ঘুম কমানোর অভ্যাস
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, আপনার যদি ঘুম কম হয়
তাহলে আপনি অতি দ্রুত চিকন হয়ে যাবেন। আর আপনার ওজন কমতে থাকবে। প্রতিদিন গড়ে
৮থেকে ৯ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
মন ভালো রাখা ও অতিরিক্ত খাওয়া
ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার মন ভালো থাকা জরুরি আপনার মন যদি ভাল না থাকে তাহলে
আপনি কিছু করে শান্তি পাবেন না। মন ভালো না থাকলে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া হয়না,
তাই দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধি করার জন্য মন ভালো রাখা এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া
জরুরী।
খালি পেটে না থাকা
খালি পেটে থাকলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়।দীর্ঘ সময় খালি
পেটে থাকলে আপনার ওজন কমে যায়। তাই দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার পেট খালি না
রাখাটাই জরুরী।
সকালে নাস্তা না করা
আপনি যদি সকালে নাস্তা না করেন তাহলে আপনার ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনেকে
আছি যারা রাতের বেলা খাইনা, আবার সেই খাওয়ার আমরা দুপুর ১২ঃ০০ টার সময় খায়।
এতে করে আমাদের ওজন কমে যায়। তাই নিয়মিত খাবার খাওয়াটা জরুরী। অল্প সময় ওজন
বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তা করাটা জরুরী।
লেখকের মতামত
আমার মতামত অনুযায়ী আপনি অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধির উপায় খুঁজছেন। যা আমাদের এই
লেখার মাধ্যমে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করা হলো। আপনি যদি নিয়মিত আমাদের এই
লেখাগুলো অনুযায়ী অনুসরণ করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার ওজন
বৃদ্ধি করতে পারেন। দ্রুত সময় ওজন বৃদ্ধির জন্য খুব সহজ উপায় গুলো আপনার কাছে
তুলে ধরা হলো। তাই কমবেশি সব মানুষ তাদের ওজন এবং শরীর নিয়ে চিন্তিত থাকে, ওজন
এবং শরীর নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নেই আপনি যদি অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধি করতে
চান তাহলে উপরে দেওয়া রুলস গুলো ফলো করবেন।
আশা করি লেখাগুলো আপনার উপকারে আসবে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
শামিম আইটি ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url