বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে
মানুষ পারি জামাতে চায়। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপের
দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকে। ইউরোপের দেশগুলোতে টাকার মান বেশি
থাকায়, এবং অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর
মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়ে থাকে। আসুন জানা যাক ইউরোপের কোন কোন দেশের
ভিসা বাংলাদেশের জন্য চালু আছে ২০২৫ অনুযায়ীঃ
বর্তমান সময়ে এই ৬ টি দেশের ভিসা খোলা আছে বাংলাদেশের জন্য। আপনি যেকোনো বিষয়ে
এই ৬ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবকিছু সুযোগ-সুবিধা বেশি
থাকায় প্রতিবছর মানুষ ইউরোপে বাড়ি জমাতে চায়।
বাংলাদেশের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ভিসা চালু আছে ২০২৫
ইউরোপের দেশগুলোর পরে বাংলাদেশের লোকজন বেশি ঝুঁকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ভিসার
জন্য। ইউরোপের মত সুযোগ সুবিধা কিংবা টাকার মান বেশি না থাকলেও খুবই অল্প সময়ে
মধ্যপাত্রের দেশগুলোর ভিসা পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজের বেতন
সীমিত থাকায় পরেও বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ মধ্যপ্রদেশ গুলো পাড়ি জমাই
কাজের উদ্দেশ্যে। আসুন মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশে ভিসা চালু আছে ২০২৫ অনুযায়ী
জেনে নেওয়া যাকঃ
- সৌদি আরব
- দুবাই
- বাহরাইন
- কুয়েত
- কাতার
- আরব আমিরাত
- ওমান
বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই ৭ টি দেশের ভিসা চালু আছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ
গুলোর প্রচুর পরিমাণে তেলের খনি থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে এই ৭দেশ
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই উন্নতির রাষ্ট্র। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে
মধ্যপ্রপাতের দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। আবার অনেকে টুরিস্ট
ভিসায় বেড়ানোর জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের জন্য এশিয়া দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫
ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে
প্রচুর পরিমাণে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। ইউরোপের
দেশগুলোর মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে টাকার মূল্য বেশি না থাকলেও অনেক ধরনের
সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, তাই প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশ
থেকে কাজের জন্য পাড়ি দিয়ে থাকে।
আসন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর ভিসা চালু আছে কি
২০২৫ঃ
- মালয়েশিয়া
- থাইল্যান্ড
- সিঙ্গাপুর
- মালদ্বীপ
- ইন্দোনেশিয়া
- ভিয়েতনাম
- ফিলিপাইন
- চীন
বাংলাদেশ থেকে সাধারণত এশিয়ারের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা এবং নানা কাজের
ভিসায় মানুষ পারি জমিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলোতে
অনেক সুযোগ-সুবিধা দে দেয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে লোকজন ভিসার জন্য আবেদন
করে থাকে। বর্তমানে 2025 অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলোর ভিসা চালু আছে।
বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা ও কানাডার ভিসা চালু ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এবং কানাডার যাওয়ার ভিসা চালু আছে ২০২৫ অনুযায়ী
শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে ভিসা চালু করা হয়েছে। আমেরিকা তথা USA
তে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকায় প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে এবং
কানাডাতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু কেউ জানে না যে কোন কোন বিষয়
আমেরিকা এবং কানাডার যাওয়া যায়। আসুন USA কোন ভিসা চালু আছে সে সম্পর্কে
আলোচনা করা যাকঃ
আমেরিকা
- B1/B2 :ভিসা ,ব্যবসা ও ভ্রমণ
- F1 :স্টুডেন্ট ভিসা
- H1B :কর্মভিত্তিক ভিসা
কানাডা
- Visitor visa
- Work permit
- Study permit
- Express Entry ,PR,
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এবং কানাডার যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি প্রসেসে
ভিসা চালু আছে। আপনারা যদি কানাডা এবং আমেরিকা যেতে চান তাহলে উপরে দেওয়া
তালিকাটির ফলো করতে পারেন।
বাংলাদেশের জন্য আফ্রিকার কোন দেশের ভিসা চালু ২০২৫
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ভিসা প্রদান করা হয়ে
থাকে। বাংলাদেশ থেকে ২০২৫ অনুযায়ী আফ্রিকার প্রায় অনেক কয়টি দেশে
বাংলাদেশীদের জন্য কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ
থেকে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মানুষ পাড়ি জমাতে চায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক 2025
অনুযায়ী আফ্রিকার কোন কোন দেশের ভিসা বাংলাদেশীদের জন্য চালু করা আছেঃ
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- মিশর
- মরক্কো
- কেনিয়া
- তানজানিয়া
২০২৫ সালের অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকার এই পাঁচটি দেশে বাংলাদেশীদের
জন্য ভিসা চালু করা আছে। এই পাঁচটি দেশে বাংলাদেশীরা অনায়াসে আবেদন করতে
পারে এবং ভিসা কালেক্ট করতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ভিসা খোলা আছে কি?
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের যাওয়ার জন্য ২০২৫ অনুযায়ী
শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে ভিসা চালু রয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া এ
দুটি খুব উন্নত রাষ্ট্র। নিউজিল্যান্ডের এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বাংলাদেশেরদের
জন্য চালু করা আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে আর কোন বিষয়
নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া যাবেঃ
-
বাংলাদেশীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক ভিসা চালু করা
আছে।
-
বাংলাদেশীদের জন্য নিউজিল্যান্ডের কর্মস্থল ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা মজুদ করা
আছে।
তবে এই দুইটি দেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকরা আবেদনের যোগ্যতা অনুযায়ী
ভাষাগত দক্ষতা থাকা জরুরি। ,LELTS/TOEFL, এবং ফিনান্সিয়াল কাভারেজ প্রমাণ
করতে হবে, এটা বাংলাদেশীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০২৫ সালে কোন দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যাচ্ছে
বিষের প্রায় অনেক দেশ আছে যেগুলোতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারীদের জন্য অন
অ্যারাইভাল ভিসা চালু করা আছে বা সুবিধা করা আছে। সেগুলো দেশে শুধু আপনার
পাসপোর্ট থাকলে হবে ভিসার কোন প্রয়োজন পড়ে না। সেগুলো দেশে আপনি অনায়াসে
ভ্রমণ করতে পারেন। ভিসা দেওয়া দেশগুলোর নামের তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
- মালদ্বীপ
- ইন্দোনেশিয়া
- তাজিকিস্তান
- সোমালিয়া
- ভুটান
- কম্বোডিয়াঅন অ্যারাইভাল
তবে এগুলো দেশে ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম হোটেল বুকিং করতে হবে। এবং
রিটার্ন টিকেট এবং আর্থিক প্রমান পত্র থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজে অন
অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পারেন।
বিভিন্ন দেশের যাওয়ার কাগজপত্র প্রয়োজন তার তালিকা
২০২৫ এর তথ্য অনুযায়ী আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য যেগুলো কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র
- আপনি কোন ক্যাটাগরিতে যেতে চান
- আপনি জাপান কেন যেতে চান
- জাপানি ভাষা শিক্ষা প্রয়োজন
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- বাংলাদেশি বৈধ পাসপোর্ট
-
জাপানি কোম্পানির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার
- ব্যাংকের কাগজপত্র
- অনলাইন পেমেন্ট কাগজপত্র
- নাগরিক সনদপত্র
- পিতা-মাতার সম্মতিপত্র
- ভিসার জন্য আবেদন ফরম
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- আপনার কাজের ক্যাটাগরি
- কর্মদক্ষতার সার্টিফিকেট, ইত্যাদি
আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে যেকোনো দেশে যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার
কাগজপত্র প্রয়োজন। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে আপনি বাংলাদেশ থেকে
কোন দেশে যেতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভিসাই বিভিন্ন দেশে যাওয়ার
জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন উপরে তার তালিকা করে দেয়া হলো।
ভিসা আবেদন করার জন্য কাগজপত্র তালিকা
বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন আবেদন করা,
বর্তমান সময় প্রত্যেকটি মানুষকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের বাইরে যে কোন দেশে
যেতে হলে অনলাইন আবেদন করতে হয়। অনলাইনে আবেদন করার পরে , আপনার আবেদনটি যদি
একসেপ্ট করে নাই তাহলে আপনি যে দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সে দেশের ভিসা
আপনাকে দেওয়া হবে। তারপর আপনি সে দেশে বৈধ ভাবে যেতে পারবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায়ে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়, আর ভিসার জন্য
আবেদন করতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি প্রয়োজন হয়ঃ
- পূর্ণ আবেদন ফরম
- আর্থিক সহায়তা প্রমাণ সার্টিফিকেট
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট
-
আপনি কোন ভিসা আবেদন করবে তার ক্যাটাগরি
- ভিসা আবেদন ফরম
- স্বাস্থ্য বীমা
উপরে যাওয়া কাগজপত্র থাকলে আপনি অনায়াসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে
আপনার কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। ভিসা আবেদন করার জন্য উপরে
দেওয়া কাগজপত্র গুলো আপনার খুবই প্রয়োজন। আশা করি কোন দেশের ভিসার জন্য
আবেদন করতে হলে উপরে দেওয়া কাগজপত্র এবং উপদেশগুলো অনুসরণ করবেন।
উপসংহার
আমার মতামত অনুযায়ী বর্তমানে কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫ সেই দেশের ভিসা
এবং দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনি যদি জানতে চান কোন কোন দেশের
ভিসা চালু আছে তাহলে এ লেখাগুলো আপনার জন্য। ধন্যবাদ
শামিম আইটি ২৪নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url