মালয়েশিয়া ১৫০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৫

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তুলনায় মালয়েশিয়ার টাকার রেট অনেকটাই বেশি। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ গিয়ে থাকে। আসুন আপনাদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার টাকার রেট কত তার ছক আকারে তৈরি করা হল।

২০২৫ সালের রেট অনুযায়ী বাংলাদেশ টু মালয়েশিয়ার টাকার রেটঃ

বাংলাদেশের টাকা তুলনায় মালয়েশিয়ার টাকার মান বেশি থাকায় সেই সুবাদে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমিক ভিসায় বেশিরভাগ মানুষ নিয়োগ করা হয়ে থাকে। মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত সমান বাংলাদেশী টাকায় ২৮,৮৯ পয়সা। এদিক দিয়ে বাংলাদেশের টাকা তুলনায় অনেকটাই বেশি।

বাংলাদেশের লোকজনের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যেক বছর মালোশিয়াতে বিভিন্ন ভিসায় লোকজন মালয়েশিয়াতে নিয়োজিত হয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার মোট আয়তন3,29,8,45,বর্গ কিলোমিটার। মালয়েশিয়ার ১৩ টি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মালয়েশিয়ার অবস্থিত। মালয়েশিয়ার টাকার মান বেশি থাকায় প্রত্যেক বছর মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে লোকজন তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য পাড়ি দিয়ে থাকে।

মালয়েশিয়ান ১৫০০০ টাকা সমান বাংলাদেশি টাকায় হয় ৪৩৩০১২,৫৮ হাজার টাকার মত। বর্তমান সময় বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে এবং টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ নিয়োগ করা হয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার টাকার বেশি থাকার কারণে দরিদ্র দেশগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে লোক মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। মালয়েশিয়ার টাকার মান বেশি থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণে লোক মালয়েশিয়াতে পাড়ি দেয়।

বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়ার ১৫০০০ টাকা সমান বাংলাদেশ টাকায় ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ১২ টাকা ৫৮ পয়সা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি থাকায় এবং কাজকাম থাকায় প্রত্যেক বছর কাজের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষ মালয়েশিয়াতে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত মালয়েশিয়া আমাদের একটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ এ দেশে প্রতি এক কিলোমিটারে গড়ে ৪৩ জন লোক বসবাস করে থাকে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ টু মালয়েশিয়া রোডে অনেক কয়টি বিমান দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রায় ৯ থেকে ১১ টি এয়ারলাইন্স যাতায়াত করে থাকে।সাধারণত মালয়েশিয়া টু ঢাকা অনেক বিমানে দেখতে পাওয়া যায়, প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সের তাদের নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।মালয়েশিয়া টু ঢাকা বিমানের তালিকা গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলোঃ

• বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স 
•  শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স
• সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
  
• থাই এয়ারওয়েস এয়ারলাইন্স
• ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স
  
• মালয়েশিয়া এয়ার এয়ারলাইন্স
  
• ইন্দিগো এয়ার এয়ারলাইন্স
  
• বাটিক এয়ার এয়ারলাইন্স
  
• ইতিহাস এয়ার এয়ারলাইন্স
• Emirates এয়ারলাইন্স

বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া টু ঢাকা এয়ারলাইনস গুলোর নাম তুলে ধরলাম। মালয়েশিয়ার টু ঢাকা এয়ারলাইন্স গুলোর প্রত্যেকটি তাদের নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন সময় এবং সুচি নির্ধারণ করে থাকে। প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সের নিজস্ব কাস্টম, এবং নিজস্ব কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন কাজের জন্য অফার দিয়ে থাকে। মালয়েশিয়াতে তাই সব কাজের চাহিদা থাকলেও কিছু কিছু কাজের বেতন অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। যেমনঃ ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক এগুলো কাজের বেতন অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। এগুলো কাজের বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর সারা বিশ্ব তাই অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজে মালয়েশিয়াতে পারে দিয়ে থাকে।

সাধারণত মানুষ মালয়েশিয়ার কাজের ধরন অনুযায়ী লোকজনকে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আপনার ভিসার ক্যাটাগরি এবং কাজের ক্যাটাগরি আপনাকে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকবে। মালয়েশিয়ার সর্বনিম্ন বেতন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ার সব কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি থাকায় প্রত্যেকটি কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা হয়। এবং প্রত্যেকটি শ্রমিকের গড়বেদনা দাঁড়ায় 40 থেকে 60 হাজার টাকা বাংলাদেশী।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মালোশিয়াতে পাড়িয়ে থাকে, মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য লোকজনকে বিমান ভাড়া করে যেতে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ টু মালয়েশিয়ার বিমান ভাড়া কতঃ

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব পায় ২৪০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘন্টা ৫০ মিনিটের মত, কিন্তু মাঝ রাস্তায় যাওয়ার পরে কোন একটি দেশের বিমান দাড়া করিয়ে সেখানে বিরতি দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সময় লাগে ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মত। বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক বছর মালোশিয়াতে লোকজন কাজে সন্ধানে গিয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট কলালামপুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ মাইলের মত বিমান পথে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় দাঁড়ানোর কারণে সেটি হয় ২৪০০ মাইলের মতো একটি দেশ থেকে যাওয়ার পথে বিরতি থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে যেতে প্রায় ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মত সময় লাগে। আর আপনি যদি খুব দ্রুত সময় যেতে চান তাহলে বিজনেস ক্লাস টিকিটের মাধ্যমে আপনাকে তিন ঘন্টা 50 মিনিটের মধ্যে মালেশিয়া কলালামপুরে পৌঁছাতে পারেন।

সাধারণত মালয়েশিয়াতে কাজে ধরন অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যদি মালয়েশিয়াতে শ্রমিক ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার বেতন হবে ঘরে প্রায় 30 থেকে 40 হাজার টাকা। আর আপনি যদি কোম্পানি ভিসাতে যেতে চান তাহলে আপনার বেতন এসে দাঁড়াবে 60 থেকে 80 হাজার টাকার মত। যা বাংলাদেশি কাজের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই প্রত্যেক বছর বাংলাদেশসহ বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে অধিকারের লোকজন মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে আগমন করে থাকে।

বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়াতে কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে আসুন কাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন গুলোর তালিকা জেনে নিনঃ

• শ্রমিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা
  
• শিক্ষক ৮০থেকে ১লক্ষ টাকা
  
• ইঞ্জিনিয়ার ১ লক্ষ্য থেকে২ লক্ষ টাকা
  
• কৃষক৫০ থেকে৮০ হাজার টাকা
  
• কোম্পানির ৪০ থেকে৫০ হাজার টাকা

মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলো কিরকম সুবিধা দেয়

২০২৫ অনুযায়ী বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশী শ্রমিকদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। সেই সুবাদে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়াতে পাড়ি দিয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মালয়েশিয়ার কোন কোন কোম্পানি লোকজনকে কিরকম সুবিধা দিয়ে থাকেঃ

• কৃষি ভিসাঃ কোম্পানির কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন কাজে ফিল্ড ওয়ার্ক, গবাদি পশু পালনের কাজ,  পাম্প তেল বাগানের কাজ এগুলো কাজের শ্রমিকদেরকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।
  
• গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ভিসাঃ মেশিন অপারেটর, ফিনিশিং স্টাফ, সেলাই মেশিন অপারেটর, এগুলো কাজে শ্রমিকদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে কোম্পানি।
  
• কন্ট্রাকশন ভিসাঃ বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন বিষয় বিভিন্ন কোম্পানির সাইডে আদেশ শ্রমিকদের কে রাজমিস্ত্রি, লাভার, ইলেকট্রিক, হিসেবে কোম্পানি নিয়োজিত করে থাকে। এবং তাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে কোম্পানি।
  
• ফ্যাক্টরির ভিসাঃ ফ্যাক্টরির ভিসা সাধারণত শ্রমিকদের কে সরকারিভাবে বা বেসরকারি কোম্পানির কারখানাগুলোতে কাজ করার জন্য নিয়ে যায়। মেশিন অপারেটর, প্যাকেজিং স্টাফ এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে কোম্পানি।
  

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

লেখকের মতামত

আমার মতামত অনুযায়ী মালয়েশিয়ার ১৫০০০ টাকা সমান বাংলাদেশি ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ১২ টাকা ৫৮ পয়সা হয়। আপনি যদি আপনার জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়াতে পাড়ি দিতে চান তাহলে আপনাকে মালয়েশিয়ার সবকিছু ভালোভাবে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে । মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনি সরকারিভাবে আবেদন করে মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারে। মালয়েশিয়ার টাকা বাংলাদেশের টাকার তুলনায় অনেকটা বেশি। আশা করেছি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।