৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় জানাটা আমাদের সকলেরই জরুরী। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য যাদের মুখে ব্রণ রয়েছে। সাত দিনে কিভাবে ব্রণ দূর করতে হয় তার সহজ উপায় নিয়ে এসেছি।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমাদের মুখের ব্রণের সমস্যাটি একটি খুবই জটিল সমস্যা। সমস্যার সমাধান করার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে।
আরও পরুনঃচুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
পেজ সূচিপত্রঃ৭ দিনে বরণ দূর করার উপায়
- ব্রণ কেন হয়
- প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
- ডাক্তারি উপায়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
- ব্রণের দাগ দূর করার পদ্ধতি
- ব্রণ জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
- কোন কোন কারনে ব্রণ হয়ে থাকে
- ব্রণ দূর করতে কেন লেবুর রস ব্যবহার
- ব্রণ দূর করার কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ
- কোন বয়সে ব্রণের দেখা দেয়
- উপসংহার
ব্রণ কেন হয়
ব্রণ কেন হয় সে কথাটা জানা আমাদের সকলেরই জরুরী। কারণ ব্রণ একটি খুবই জটিল রোগ। ব্রণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে তার প্রতিকার করা খুবই সহজ। ব্রণ
কেন হয় তার কিছু মূলধারা সম্পর্কে আজ আলোচনা করা হলোঃ
- জেনেটিক কারণ :আপনার পরিবারে কারো ব্রণের ইতিহাস থাকলে, আপনার ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- তেল যুক্ত ত্বক :আপনার তোকে অতিরিক্ত তেল থাকলে সেখানে ময়লাযুক্ত হয়, এবং এর ফলে ব্রণের দেখা দিতে পারে।
- হরমোন পরিবর্তন :কিসের বয়সে হরমোনের পরিবর্তনের সময় আমাদের মুখে ব্রণ বেশি দেখা দিয়ে থাকে।
- জীবনের সংক্রমণ :আমাদের মুখে থাকা প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম নামক জীবন ও আমাদের ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি করে।
- খাদ্যের ভারসাম্য :অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে আমাদের মুখে ব্রনের দেখা দিতে পারে।
- রাত জাগা :অনেক সময় রাত জাগার কারণে আমাদের ত্বকে বড়লোক দেখা দিতে পারে।
- স্টেস:হরমোনের পরিবর্তে এবং মানসিক চাপের কারণে ব্রণের দেখা দিতে পারে।
উপরে দেওয়া প্রত্যেকটি কারণে আমাদের ত্বকে বরুনের দেখা দিতে পারে। ব্রণ এমন
একটি জটিল রোগ যা আমাদের চেহারাকে নষ্ট করে দেয়।
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
প্রাকৃতিক উপায় ব্রণ দূর করার সহজ পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হলো। আমরা কি কি
উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার
পদ্ধতি।
এলোভেরা
একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা নিতে হবে ,তারপর সেখান থেকে জেল গুলো বের করে নিতে
হবে। জেল বের করা শেষ হলে। আপনি প্রতিদিন আপনার ত্বকে ২০ থেকে ১৫ মিনিট গিয়ে বসে
থাকতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট হওয়ার পরে জ ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে
নিতে হবে।
দারুচিনি ও মধু
দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি ইনফর্মেন্টারি আমাদের মুখের ব্রণের লাল ভাব কমাতে
সাহায্য করে। প্রথমে আপনাকে দারুচিনির সাথে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
তারপরে এটি আপনার মুখের ব্রণে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট হওয়ার পরে
পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবুর রস ও মধু
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড আমাদের মুখের এইতো কোষগুলো দূর করতে সাহায্য
করে। আর মধু আমাদের মুখের ময়েশ্চারাইজ করে তোলে । এক চামচ মধু এবং তার সঙ্গে এক
চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর সিটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে
লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
টি টি্ ওয়েল
টিটি ওয়েল রয়েছে এন্টিবায়োটিক উপাদান। যা আমাদের ত্বকের জীবনানন্দ দূর করতে
সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন আমাদের ত্বকে দুই থেকে তিন ফোটা টিকিট ওয়েল লাগাতে
হবে। রাতে এটি লাগিয়ে সকালবেলা ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই উপায় গুলো ফলো করলে আপনার মুখের ব্রণ গুলো খুব সহজে ভালো হয়ে যায়। আশা করি
বুঝতে পেরেছেন।
ডাক্তারি উপায়ে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি
প্রাকৃতিক পদ্ধতির পাশাপাশি ডাক্তারি পরামর্শ অনুয ব্রণের চিকিৎসা করা যায়। ডাক্তারের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমিক ব্রণ দূর করা যায়। আসুন জেনে নাও যাক ডাক্তারের পদ্ধতি গুলো কি কি।
- ব্রণ দূর করার ক্রিম :ফার্মাসিতে পাওয়া কিছু ক্রিম ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। যা ব্রনের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যেমন :রেটিনয়েড,বেঙ্গয়েল পেরক্যাইড,সালিসাইলিক অ্যাসিড।
- এন্টিবায়োটিক থেরাপি :যদি দেখেন আপনার ব্রণ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রয়েছে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক থেরাপি গ্রহণ করতে পারেন। আর এন্টিবায়োটিক থেরাপি শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।
- লেজার থেরাপি :লেজার থেরাপি সাধারণত আমাদের ত্বকের গভীর স্থলে ঢুকে আমাদের ত্বকের জীবাণ ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে।
- কেমিক্যাল পিলিং :লিংক প্রযুক্তি সাধারণত আমাদের ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষগুলো যাতে সাহায্য করে। পিলিং পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্যের ভারসামু পরিবর্তন করে ব্রণ দূর করে থাকে। কেমিক্যাল পিলিং মাধ্যমে কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন যেমন, চর্বি যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, প্রসেড ফুড, এই জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
ব্রণের দাগ দূর করার পদ্ধতি
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় অনেক রয়েছে। আসুন জেনে যাওয়া যাক ব্রণের দাগ দূর করার সঠিক পদ্ধতি গুলো। ব্রণের দাগ দূর করার অনেক ধরনের পদ্ধতি থাকে কিছু কিছু পদ্ধতি ব্রণ দূর হয় আবার কিছু কিছু পদ্ধতিতে দূর হয় না। আসুন জেনে নেওয়া যাক মুখের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো বা সঠিক পদ্ধতি গুলো।
-
ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং পুরাতন রং দূর
করতে সাহায্য করে থাকে.
-
বায়ো অয়েল বা কোকোনাট অয়েল সাধারণত আমাদের ত্বকের ডাক দূর করতে সাহায্য
করে থাকে. এই তেল গুলো যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে
আপনার ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে.
- স্ক্রাব নিয়মিত ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের স্ক্রাব ফোলিয়েট ভেতরের দাগ দূর করে
ব্রণ জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
ব্রণের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার বেশ কিছু পদ্ধতির রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক
ব্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি প্রতিকারগুলো শনাক্ত করি।
- আপেল সিডার ভিনেগার একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি।
- অ্যালোভেরা জেল ব্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা। অ্যালোভেরা জেলে থাকে এসিড আমাদের ব্রণের দূর করতে সাহায্য করে।
- মধু, মধুতে থাকা পাইরির অ্যাসিড আমাদের ত্বকের ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকের ছিদ্র এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- চা গাছের তেল, চা গাছের তেল ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণ বের হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ানে।
- দারুচিনি, দারুচিনি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং তোকে থাকা ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে। তবে থাকা ব্যাকটেরিয়াস মাধ্যমে আমাদের ব্রণ দেখা দেয়।
উপরে থাকা পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আপনার ব্রণের প্রতিকার করতে পারবেন। উপরে
থাকা প্রত্যেকটি পদ্ধতি ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করা আছে। ব্রণের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই টপিকটি।
কোন কোন কারনে ব্রণ হয়ে থাকে
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এই আর্টিকেলটি রাইটিং করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের জানা নেই কোন কোন কারণে আমাদের ব্রণ হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন কারণে আমাদের ত্বকের ব্রণ দেখা দিয়ে থাকে। এবং ব্রণ দেখা দেওয়ার কারণ গুলো কি কি?
- জিনগত :জিনগত তথা আপনার বাবা কিংবা আপনার মায়ের যদি ব্রণ হয়ে থাকে তাহলে আপনার ব্রণ হতে পারে।
- জীবনযাত্রা পরিবর্তন :অনিয়মিত খাদ্য, ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ, অসম্পূর্ণ ঘুম ইত্যাদি কারণে প্রাণের দেখা দিতে পারে।
- হরমোন :বয়সন্ধিকালে আমাদের শরীরে এন্ডটোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে আমাদের মুখ পিঠ কিংবা বুকে ব্রণের দেখা দিতে পারে।
- মানসিক চাপ :ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপে থাকা।
- প্রসাধনী :প্রসাধনী তথা তৈলাক্ত ব্যবহারে ত্বকে ব্রণের দেখা দিতে পারে।
ব্রণ দূর করতে লেবুর রসের ব্যবহার
লেবুর রসে থাকা সাইটিক এসিড আমাদের ত্বকের পুরাতন কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরি
করতে সাহায্য করে। লেবুর রস রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা আমাদের ব্রণ বের হওয়া
থেকে বিরত রাখে। লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিক্স করে পেস্ট করে নেওয়ার পরে সপ্তাহে
যদি দুই থেকে একবার ব্যবহার করা যায় আশা করা যায় আপনার ত্বকে ব্রণ এর সমস্যা
সমাধান হবে।
ব্রণের জন্য লেবুর রস খুবই কার্যকর একটি উপাদান। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর রস ব্যবহারের মাধ্যমে তিন থেকে চার সপ্তাহের
মধ্যে আপনার ত্বকে থাকা ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। মধু সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে
পেস্ট করে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।
পেস্ট করা লেবুর রস এবং মধু আপনার ত্বকে যে যে স্থানে ব্রণ আছে সেই সেই স্থানে
ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। তারপরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুইবার
ব্যবহার করলে আপনার ব্রণের সমস্যা সমাধান হবে আশা করা যায়।
ব্রণ দূর করার কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ
আমরা যে যাই বলি না কেন ব্রণ দূর করার জন্য কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু
বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষ বলে থাকে এক মাসে ব্রণ দূর করার সহজ উপায়,
কিংবা.৭দিনে কোন দূর করার উপায়। আসলে কোনোটি ঠিক নয় ব্রণের সমস্যার সমাধান
করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এজন্য হতাশ হওয়া যাবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক
ব্রণ দূর করার কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ।
- জীবনধারা পরিবর্তন:জীবনধারা পরিবর্তন বলতে শুধুমাত্র আমাদের থাকা খাওয়া চলাফেরা বলে না।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তেল মশাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আসতে হবে।
- হলুদ ও মধুর প্যাক :হলুদে থাকা এন্টি ইনফ্রমেটি ও এনটি সেফটি গুন থাকে। যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে থাকা ভ্রম দূর করতে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরার জেল :অ্যালোভেরা তে থাকা এন্টিবায়োটিক আমাদের মুখের কালো দাগ সহ ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। অ্যালোভেরা তো থাকা বিশেষ গুণ আমাদের ত্বক সহ মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
- চন্দন ও গোলাপ জল :চন্দনে গোড়াও গোলাপজলে একত্রে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে বা তোকে লাগালে আমাদের ব্রণ হওয়া থেকে দূরে রাখে। চন্দন আমাদের ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে বা ধ্বংস করে।অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করে।
- লেবুর রস :লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড আমাদের ত্বকেসহ জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে।লেবুর রস যদি শুধুমাত্র আপনার মুখে কিংবা ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে বসে থাকতে পারেন। তারপর সেটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলন।তাহলে অল্প দিনে আপনার মুখের ব্রণ ভালো হবে আশা করা যায়।
- নিমের পাতা: মিমের পাতায় ঢাকায় এসিড আমাদের মুখের বা ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য খুবই ভালো একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হতে পারে। নিমের পাতা পেস্ট করে আপনার মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে বসে থাকুন, তারপরে সেটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে একবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার ব্রণের হওয়া থেকে দূরে রাখে।
-
কাঁচা হল ও নিমের পাতা: কাঁচা হলুদ ও নিমের পাতা একত্রে পেস্ট করে আপনার
মুখে লাগালে ব্রণ হওয়া থেকে দূরে রাখে। সাথে সাথে আপনার মুখে থাকা ছিদ্র
অথবা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
কোন বয়সে ব্রণের দেখা দেয়
ব্রণ সাধারণত বয়সন্ধিকাল থেকে হওয়া শুরু হয়ে থাকে। বয়সান্তি কাল বলতে আমরা বুঝি ১২ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে এই সময়টাকে। এই সময়টাতে আমাদের নাম ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন ধরেন হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করা, অল্প ঘুম ইত্যাদি কারণে এই সময়টাতে ব্রণের দেখা দিয়ে থাকে।
ব্রণ সাধারণত ১২ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে। তারপর আস্তে আস্তে আপনার বয়স যখন ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে হয় তখন আপনা আপনি ব্রণের সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া বসন্তকালে আমরা নানান ধরনের কেমিক্যাল এবং এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে বড় দূর করার কার্যক্রম পালন করে থাকি।
বয়সন্ধিকালে ব্রণ হওয়ার অনেক কারণ থাকে কারণ গুলো সম্পর্কে আমি বিস্তারিত
করবো না। কিন্তু ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায়ে কিছু পদক্ষেপ
গ্রহণ করতে পারেন যেমন ধরেন লেবুর রস, মধু, কাঁচা হলুদ, অ্যালোভেরা জেল, নিমের
পাতা, ইত্যাদি ব্যবহার করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ৭ দিনে ব্রণ দূর
করার উপায় হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় আপনাদের কাছে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। এবং কি কি ভাবে বা কি কি পদ্ধতি গ্রহণ করলে বরুণ হওয়া থেকে
বিরত থাকবেন এবং বরুণ হওয়ার পরে কার্যক্রম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। করে দেওয়া
পদ্ধতিগুলো হতে পারে আপনার জন্য একটি আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। আশা করি উপরে দেওয়া
নিয়মগুলো অনুসরণ করবেন এবং আপনার ব্রণ এর সমস্যার সমাধান করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url