বাংলাদেশে মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে আর আজকের এই পোস্ট টি লেখা হয়েছে। আজকে
আপনাদেরকে জানানো হবে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় মাশরুম চাষ করা হয়। এবং মাশরুম
চাষ করার মাধ্যমে কিভাবে একজন ব্যক্তি সফল উদ্যোক্ত হয়ে উঠছে।
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
মাশরুম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের কোন কোন ধরনের রোগ ভালো হয় তা নিয়ে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
মাশরুম কে আমরা সাধারণত ব্যাংকের ছাতা বলে চিনি বাংলাদেশী মানুষেরা। কিন্তু
রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মেডিসিন।
খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের নানান ধরনের অসুখ ভালো হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক
মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে। মাশরুম বাংলাদেশে কোন কোন পদ্ধতিতে চাষ করা হয়
সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশের সাধারণত কৃষি অধিদপ্তর থেকে মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে
থাকে। আপনি চাইলে কৃষি অধিদপ্তর থেকে মাশরুম চাষ করার জন্য ট্রেনিং নিতে
পারেন। মাশরুম চাষ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বেছে নিতে হবে। তারপর
সেখানকার তাপমাত্রা আদ্রতা এবং জলবায়ু কেমন হয় সেটা ভালোভাবে পরিমাপ করতে হবে।
তারপর সেখানে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করতে হবে।
মাশরুম চাষের করার জন্য বাংলাদেশ খুবই উপযুক্ত একটি স্থান। বাংলাদেশের পরিবেশ এবং
আদ্রতা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ভারসাম্য বজায় করে থাকে তাই খুব সহজে মাশরুম
বাংলাদেশের চাষ করতে পারবেন।
মাশরুমে কি কি পুষ্টিগুণ আছে
মাসুমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন প্রোটিন ও এন্টিঅক্সাইড আছে যা আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। মাশরুম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের
শরীরের হৃদরোগ এবং ক্যান্সার রোগের মতন বড় বড় ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া
যায়। মাসুদ খাওয়ার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে আপনার বড় ধরনের অসুখ ভালো হতে পারে।
সাধারণত মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফাইবার,
অ্যান্টিঅক্সাইড, ওকে ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
মাশরুম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের কোন অসুখ ভালো হয়
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিক ক্যালসিয়াম ও এন্টিঅক্সাইড এর গুণ বেশি পরিমাণে
থাকায় আমাদের নানান ধরনের অসুখ থেকে মুক্তি মিলে থাকে। তাছাড়া মাশরুম খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো বড় ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান মিলে
থাকে। মাশরুম এমন একটি খাবার যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে থাকে। আগে মাশরুম বাংলাদেশে চাষ করা হতো না।
কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মাশরুম চাষের পদ্ধতি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে
প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক বেকার তরুণ এই কাজে লিপ্ত হয়ে আছে। মাশরুম খাওয়ার মাধ্যমে
আমাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা,
অ্যানিমিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
মাশরুমের বীজ কিভাবে সংগ্রহ করবেন
মাশরুমের বিষ সংগ্রহ করার জন্য আপনি সাধারণত বিআরটিসি এবং অন্যান্য কৃষি অধিদপ্তর
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।কারণ বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় মাশরুমের
বীজ পাওয়া যায় যেমন ধরেন ঢাকা কারণ বাজার, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, রাজশাহী
সাহেব বাজার ইত্যাদি স্থানে প্রচুর মাশরুমের বিক্রয় করা হয়। এছাড়া আপনি
মাশরুমের সংগ্রহ করার জন্য বিশ্বস্ত একটি প্ল্যাটফর্ম খোঁজ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে মাশরুমের বিষ সংগ্রহ করা যায়। যেমন ধরেন ফেসবুক,
ইউটিউব, টুইটার, এবং ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে প্রচুর পরিমাণ মাশরুমের বীজ সাপ্লাই
করা হয়ে থাকে। আপনি এগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে খুব সহজে সংগ্রহ করে. মাশরুমের বীজ
কেমন হবে এটা না জানা থাকলে আপনি বিশ্বস্ত একটি স্থান থেকে মাশরুমের বীজ সংগ্রহ
করতে পারেন। যেমন ধরেন বিআরটিসি বিশ্বস্ত একটি স্থান।
মাশরুম চাষে বীজ তৈরি পদ্ধতি
মাশরুমের বীজ তৈরি করার জন্য আপনাকে সঠিক একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। কারণ
সঠিক স্থান নির্বাচন না করতে পারলে আপনার মাশরুমের বীজ তৈরি করতে পারবেন না।
মাশরুমের বীজ তৈরি করার জন্য একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণু মুক্ত স্থান
নির্বাচন করতে হবে। কারণ মাশরুম জীবাণুমুক্ত স্থান ছাড়া চাষ করা সম্ভব হয়
না।
মাশরুম চাষ করার জন্য আপনার তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫ এবং আদ্রতা হতে হবে ৬০ থেকে ৭০
ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত। কারণ এর বেশি হলে সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। সাধারণত
মাশরুম জীবাণুমুক্ত জায়গায় জন্ম নেয় বলে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং
প্রোটিন থাকে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করে থাকে।
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে
আজকের এই পোস্টটি মাধ্যমে। সাধারণত মাশরুম খেলে আমাদের নানান ধরনের অসুখ বিসুখ
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঠিক সেরকম বেশি পরিমাণে খেলে তার একটা সাইড ইফেক্ট দেখা
দিয়ে থাকে।
উপকারিতাঃ
ক্যান্সার রোগ ভালো হয়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে
হৃদরোগ ভালো হয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
এলার্জি রোগ দূর করে
রক্তের শর্করা কমায়, ইত্যাদি।
অপকারিতাঃ
আসলে আমরা বাংলাদেশী মানুষরা মাসুম বলতে ভেঙ্গে ছাতা কে বুঝিয়ে থাকি। আমরা
ছোটবেলা থেকে ব্যাঙের ছাতা দেখে অভ্যস্ত হয়ে আছি। আর মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা বা
ইউরোপের লোকেরা মাশরুমে চাষ করে তারা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হয়ে আসছে। মাশরুমে যে
রকম উপকার দিক রয়েছে ঠিক তার অপকার অধিকও রয়েছে। আমরা সাধারণত যেগুলো মাস্টারকে
দেখে থাকি সেগুলো হলো বন্য
মাশরুম। বন্য মাশরুমে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পরিমাণ বেশি থাকায় আমাদের শরীরের
নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া বন্যা মাশ্রম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা
দিতে পারে। আর মাশরুম বেশি পরিমাণে খেলে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল কম করে থাকে। যা
স্ট্রোকের মতো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই মাশরুম পরিমাপ অনুযায়ী
খাওয়া উচিত।
মাশরুম দিয়ে কি কি তৈরি হয়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মাশরুম ধরনের রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে। মাশরুম খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে সাথে নানান ধরনের অসুখের
সমাধান নিলে থাকে। তাই ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী মাশরুম খাওয়াটা ভালো। মাশরুম
দিয়ে বাংলাদেশে নানান ধরনের রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে বর্তমান সময়ে। আসুন জেনে
নেওয়া যাক কোন কোন খাবার তৈরি হচ্ছে মাশরুম দিয়ে।
গরুর মাংসের সঙ্গে মাশরুম
মুরগির মাংসের সঙ্গে মাশরুম
মাশরুমের চপ
মাশরুমের স্রুপ
মাশরুমের পিজ্জা, ইত্যাদি খাবার তৈরি করা হচ্ছে।
মাশরুমের পাউডারের উপকারিতা
মাশরুম খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। ঠিক তেমন মাস্টার যখন থাকে না তখন আমরা
মাশরুমের পাউডার তৈরি করে সেটি সংরক্ষণ করে রাখি। পাউডার দিয়ে নানান ধরনের
কেমিক্যাল এবং ভেষজ ওষুধ তৈরি করা হয়। মাশরুমের পাউডার খাওয়ার মাধ্যমে
আমাদের শরীরের নানান ধরনের সমস্যা এবং অসুখ থেকে মুক্ত পাওয়া যায়। তাছাড়া
মাশরুমের পাউডার দিয়ে নানা ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয়ে থাকে।
মাশরুম যেরকম আমাদের শরীরের জন্য উপকার ক্যান্সারের মতো বড় ধরনের রোগ সারাতে
সাহায্য করে। ঠিক সেরকম মাস্টার পাউডার দিয়েও ক্যান্সার এবং নানান ধরনের
অসুখের ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় মাশরুমের কোন বিকল্প নেই।
মাশরুম কোন কোন খাবার ব্যবহার করা হয়
মাশরুম সাধারণত আমরা প্রত্যেকটি খাবারের ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে
তরকারি জাতীয় খাবার গুলোতে মাশরুমের ব্যবহার বাংলাদেশে এখন প্রচলিত আছে।
এমন একটা সময় ছিল যখন মাশরুম দেখলে মানুষে ব্যাঙের ছাতা বলে মনে করত।
কিন্তু বর্তমান সময় মাষ্টনের উপকারিতা এবং মাশরুমের গুনাগুন সম্পর্কে
জানার পরে প্রায় প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে মাশরুমের ব্যবহার করে আসছে।
সাধারণত মাশরুম যে যে খাবার গুলোতে ব্যবহার করা হয় তার একটি তালিকা
দেওয়া হলোঃ
শাকসবজি মাংস জাতীয় খাবার পিজা জাতীয় খাবার সুপ জাতীয় খাবার চপ জাতীয় খাবার মাস জাতীয় খাবার, ইত্যাদি
বর্তমান সময় বাংলাদেশে উপরে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এই কয়েকটি খাবারের
মাশরুমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া মাসুম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্যান্সারের মধ্যে রোগ সারাতে
সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক আলসার ও হৃদ রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকে।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে, মাশরুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাছাড়া মাশরুম খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের নানা ধরনের অসুখ এর সমাধান মিলে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের
তাপমাত্রা অনুযায়ী মাশরুম চাষ খুবই লাভজনক । আপনি খুব সহজে বাড়ির আঙিনায়
স্থান করে মাশরুমে চাষ করতে পারেন। বর্তমানে মাশরুমের চাষের জন্য কৃষি
অধিদপ্তর থেকে মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন, ধন্যবাদ।
https://www.basicinfoit.com