জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন সেটার যাবতীয় প্রসেস সম্পর্কে আজকে এই পোস্টটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজকের এ পোস্টটিতে পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সহজ পদ্ধতি।
ও কোন কোন মাধ্যমগুলোর সাহায্যে জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে সাধারণত পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় আবদিনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আরো পরুনঃঅস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন
পেজ সূচিপত্রঃ জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন
- জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা
- জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার প্রকারভেদ
- জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম
- জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
- জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
- জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের কাগজপত্র
- জার্মানিতে টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ
- বাংলাদেশ থেকে জার্মানির বিমান ভাড়া কত
- জার্মানিতে কোন কোন ভিসায় যাওয়া সহজ
- উপসংহারঃ
জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা
পড়াশোনার জন্য জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া আপনার জন্য সঠিক একটি সিদ্ধান্ত
হতে পারে। কারণ বাংলাদেশের তুলনায় জার্মানি পড়াশোনার মান উন্নত থাকায় বিশ্বের
বিভিন্ন দেশ থেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে জার্মানিতে এডমিশন দিয়ে থাকে। পড়াশোনার
পাশাপাশি জার্মানিতে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের
অনেক দেশ থেকেই পড়াশোনার জন্য ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করে থাকে।
জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত স্বরূপ আলোচনা
করা হলো। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যাওয়াটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে।
জার্মানির যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দিতে হবে। আপনি যদি এডমিশনে পাস করেন
তাহলে আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানিতে যেতে পারবেন।
এছাড়া আরো অনেক মাধ্যম আছে যেগুলো সাহায্যে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানিতে
পড়াশোনার জন্য যেতে পারেন। বাংলাদেশীরা সাধারণত জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা
যাওয়ার জন্য আগ্রহী হওয়ার কারণ অল্প খরচে পড়াশোনা করা যায়। আর বাংলাদেশের
তুলনায় জার্মানির জীবন যাত্রার মান উন্নত থাকায় প্রত্যেক বছর হাজার হাজার
স্টুডেন্ট পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে গিয়ে থাকে।
জার্মানিতে যাওয়ার জন্য আপনার কিছু যাবতীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যেমন ধরেন,
এডমিশন লেটার, ভাষা পারদর্শী সার্টিফিকেট, আপনার বৈধ পাসপোর্ট, আপনি যে
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তার আবেদন পত্র, ভিসার ফি, মেডিকেল রিপোর্ট
সার্টিফিকেট, একাডেমি সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্ড, আপনার পাসপোর্ট
সাইজের ছবি, ইত্যাদি থাকাটা বাধ্যতামূলক।
জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসার প্রকারভেদ
বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে জার্মানিতে যেতে চান তাদের একটা জিনিস
জানাটা অবশ্য। সেটা হল স্টুডেন্ট ভিসার জার্মানিতে কয় রোকম ভাবে যাওয়া যায়।
জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার কিভাবে যাবেন সেটা। আপনাদের জানা উচিত সাধারণত
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে তিনটি উপায়ে যাওয়া যায় স্টুডেন্ট ভিসায়। এই তিনটি
বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের কাছে আলোচনা করা হল।
Student Applicant Visa: সাধারণত এ ভিসা টি যারা জার্মানিতে ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স
করার মাধ্যমে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে চান। তাদের জন্য স্টুডেন্ট
অ্যাপ্লিকেশন ভিসা প্রয়োজন হয়ে থাকে।
Student Visa(Fix Term Language course ): এই ভিসায় যাওয়ার জন্য সাধারণত
আপনার মেয়াদ থাকবে সাধারণত তিন থেকে ছয় মাস। এই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে
আপনাকে পুনরায় দেশে ফিরে আসতে হবে। কারণ এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কোন সিস্টেম
নেই। আর এ বিষয়ে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য কোন কাজে লিপ্ত হতে পারবেন না।
Student Visa (Direct Admission to University): জার্মানিতে যাওয়ার জন্য এ
ভিসাটি হতে পারে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিসা। কারণ জার্মানিতে যাওয়ার
জন্য আপনি সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে যেতে পারবেন। এই
হিসাবে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও
আপনি যে কোন কাজ কাম করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আরো পরুনঃইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন এবং স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার
সাধারণত কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে
ইংলিশ সহ জার্মানি ভাষায় পারদর্শী হওয়াটা জরুরী। কারণ আপনি ইংলিশ না পারলে
জার্মানি আবেদন ক্রমে কোন কিছু লিখতে পারবেন না।
জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম www.daad.de এই
ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে আপনার ইউনিভার্সিটির চয়েজ করতে হবে। তারপর
আপনাকে যাবতীয় তথ্য অনুযায়ী ফর্মটি পূরণ করতে হবে। হোম টি পূরণ করার পরে আপনাকে
আপনার কাজের উদ্দেশ্য এবং আপনার বিবরণ অনুযায়ী সকল তথ্য দিয়ে সাবমিট করতে হবে।
জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার জন্য এই ওয়েবসাইটটিতে Uni-assist ভিজিট করতে
হবে।
আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে। ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। পূরণ করা শেষ হলে
জার্মানির দূতাবাসে গিয়ে আপনার যাবতীয় কাগজপত্র এবং পুরনকৃত ফর্মটি জমা দিতে
হবে। আপনার কাগজপত্র জমা নেওয়ার পরে তারা আপনাকে কিছুদিন সময় দিবে. নির্ধারিত
সময় অনুযায়ী আপনার জার্মানি ভিসা প্রসেসিং টা কমপ্লিট হয়ে যাবে।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে লেখাপড়া করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায়
আবেদন করে থাকে। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার পরে আপনার যে একটি যাবতীয় খরচ হবে
সেটি সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ তেমন একটা বেশি না
হলেও আপনার ইউনিভার্সিটির ফি, এজেন্সি ফি, আবেদন ফি, সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন ফি,
ভিসা ফি ইত্যাদি সংযুক্ত করে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মত খরচ হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনার ব্যাংকের
একাউন্টে নিম্নতম ১৫ লক্ষ টাকা আছে সেটি দেখাতে হবে। এছাড়া আপনি জার্মানি
স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হয় সেটি আলোচনা করা হলো।
স্টুডেন্ট ভিসায় গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার জন্য আপনার খরচ পড়বে পাঁচ থেকে ছয়
লক্ষ টাকার মত।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার যাবতীয় তথ্য এবং
কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার
জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে জার্মানি এজেন্সির কাছে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন
করা শেষে আপনার ভিসা টি সঠিকভাবে আসছে কি সেটা চেক করতে হবে।
তারপর আপনার ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা আছে এটি একটি ডকুমেন্ট দেখাতে হবে।
ডকুমেন্ট দেখানো শেষ হলে আপনি আপনার যাবতীয় কাগজপত্র করে জমা দিতে হবে। আপনার
জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার জার্মানি দূতাবাসের কাছে
জমা দিতে হবে।
আপনার কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়া শেষ হলে আপনার নিজস্ব কাগজপত্র যেমন ধরেন,
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপ্ আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনার পাসপোর্ট এর
ফটোকপি ইত্যাদি কাগজপত্র দিয়ে আপনার যাবতীয় তথ্য একত্র করে আপনার স্টুডেন্ট
ভিসাটি প্রসেসিং এর জন্য দিতে হবে।
এছাড়া আপনি কোন ভিসায় যাবেন এমন কোন ক্যাটাগরির বিষয় যাবেন সে সম্পর্কে
যাবতীয় তথ্য দিয়ে আপনার ভিসারটি প্রসেসিং করতে দিতে হবে। আপনার যাবতীয় তথ্য
চেক করার পরে যদি দেখে সঠিক রয়েছে তাহলে আপনি জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায়
পড়াশোনা করতে যেতে পারবেন আশা করা যায়।
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসয়ে আবেদন কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসায়
পড়াশোনা করার জন্য আবেদন করে থাকে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানি
স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করে থাকে। কিন্তু জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে যাবেন
সেটি সম্পর্কে আমাদের কারো ধারণা নেই। জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদনের
কাগজপত্র কি কি লাগেঃ
- আপনার নিজস্ব বাংলাদেশে বৈধ পাসপোর্ট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি অফার লেটার
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- ভিসা আবেদন ফরম
- কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রমাণপত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র
- আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণপত্র ,ইত্যাদি
জার্মানিতে টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ
জার্মানিতে টিউশন ফি বলতে কোন কিছু নেই। বাংলাদেশের মতো জার্মানির জীবন যাত্রার
খুবই উন্নত থাকায়। এদেশে ছাত্রছাত্রীদেরকে কোন টিউশন ফি দেওয়া হয় না।
জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার নিম্নতম বয়স এবং ১২
বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেমন ধরেন এইচএসসি অথবা ডিপ্লোমা।
অনেক অনেক ভার্সিটির টিউশন ফি লাগে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবার প্রতি
সেন্টিমিটার ৫০০ থেকে ৭০০ ইউরো মত লেগে থাকে। আবার অনেক সার্জেন্ট যেমন এয়ার
পেস্ট দুই বছরে ২০ হাজার ইউরো মত ভ্যাট লাগতে পারে। আমার জানামতে ইউরোপের বিভিন্ন
দেশে টিউশন কি থাকলে জার্মানিতে কোন টিউশন ফি নেই।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানির বিমান ভাড়া কত
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনার জন্য গিয়ে
থাকি। তাদের এ কথাটা জানা জরুরী বাংলাদেশ থেকে জার্মানির বিমান ভাড়া কত হতে
পারে। এছাড়া কোন কোন এয়ারলাইন্সের ভাড়া কেমন হতে পারে সেটি সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলঃ
আরো পরুনঃইতালি ভিসা আবেদন ফরম ২০২৫
নামঃ | বিজনেস ক্লাস-ভাড়া | ইকোনোমিক ক্লাস-ভাড়া |
---|---|---|
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স | ৩,২২,৮৬৪-৪,০২,২৩৬ | ১,৫৭,৪৯০-২,৪৩,৬৪২ |
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স | ৩,০৯,৮৬৪-৫,২০,২৩৬ | ১,২৯,২৮০-১,৬৮,৩৩৭ |
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স | ৩,১৪,৫৯৮ -৫,০৮,৪৬৬ | ১,০৯,৭৩৯- ১,৬২,৩৮৪ |
টার্কিশ এয়ারলাইন্স | ২,৭৯,৮৯৯-৪,০১,৯৮১ | ১,০১,৬৭৫-১,৩৫,৭৯৯ |
শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স | সিট নেই | ১,৪৭,০৪৩ |
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স | ৩,০৮,৫৬০-৪,১১,৬৪০ | ১,৩২,৪৯৫ -২,০৭,৬৩৭ |
এয়ার ইন্ডিয়া | সিট নেই | ৯৪,৭০০-১,০৮,৬৯৩ |
ক্যাথে প্যাসিফিক | ৩,২৮,৩০৭ -৫,১৩,৫৮১ | সিট নেই |
কাতার এয়ারওয়েজ | ৩,০৭,৫১৩-৪,১৫,৬৫১ | ৯৮,৬৯২-১,৩৪,৫৬২ |
থাই এয়ারওয়েজ | ৩,৭৬,১৯০-৪,০১,৫৩৯ | ১,১৯,৮৬১-১,৭৩,৬৯৩ |
জার্মানিতে কোন কোন ভিসায় যাওয়া সহজ
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যাওয়ার জন্য সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসাটা পাওয়া খুব সহজ
কাজ। এছাড়াও আরো নানান ধরনের ভিসা আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জার্মানিতে কাজের
উদ্দেশ্যে যেতে পারেন। যেমন ধরেন শ্রমিক ভিসা, কৃষি ভিসা, কোম্পানির ভিসা,
শিক্ষকতা বিষয়, টুরিস্ট ভিসা, চিকিৎসা ভিসা ইত্যাদি সাথে আপনার খুব সহজেই
জার্মানিতে যেতে পারেন। উপরে দেওয়া প্রত্যেকটি বিষের মধ্যে সবচাইতে সহজ বিষয়
হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা।
জার্মানিতে সকল ধরনের কাজকামের চাহিদা বেশি থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে
ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। সাধারণত বাংলাদেশের তুলনায় জার্মানের জীবনযাত্রার
মান অনেকটাই উন্নত। এবং তাদের শিক্ষার মান উন্নত থাকায় বিভিন্ন দেশের
ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করে থাকে। আপনি যদি জার্মানিতে যেতে চান
তাহলে নানান ধরনের ভিসার জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন।
জার্মানিতে সাধারণত ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী তার পেমেন্ট নেওয়া হয়ে থাকে।
জার্মানি তো এখন বর্তমান সময়ে আপনি যেতে হলে নিম্নতম ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত
খরচ হতে পারে। তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জার্মানির দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ
রাখতে হবে। এবং যখন জার্মানিতে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে তখন আপনি খুব সহজে
সরকারিভাবে জার্মানিতে যেতে পারবেন।
জার্মানিতে যাওয়ার জন্য তেমন একটা খরচ না হলেও তারা শ্রমিকদেরকে নানান ধরনের
সুযোগ সুবিধা দেয়ার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে মানুষ বেশি পরিমাণে
গিয়ে থাকে। জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন সেটি সম্পর্কে উপরে আলোচনা
করা হয়েছে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে,জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে যাবতীয়
তথ্য উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও জার্মানি জীবনযাত্রার মান কি রকম, এবং কত
টাকা খরচ করবে এবং কি কি কাগজ প্রয়োজন। যাবতীয় সকল বিষয়ে আলোচনা করা
হয়েছে।
আপনি যদি পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে যেতে চান তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি
সুবর্ণ সুযোগ। কারণ প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষক এবং ছাত্র
ছাত্রী পড়াশোনা জন্য জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করে থাকে। জার্মানিতে
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য এমন একটা কঠিন কাজ না।
শুধুমাত্র জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে যাবেন তার জন্য আপনাকে যাবতীয়
কাগজপত্র এবং তথ্য দিয়ে জার্মানি দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। আবেদন করা শেষ হলে
আপনার ভিসাটি প্রসেসিংয়ের কাজে দেওয়া হবে। যদি দেখা হয় আপনার যাবতীয় তথ্য
সঠিক তাহলে খুব সহজে আপনি জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url