গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি? এ কথাটা আমরা হয়তোবা অনেকে জানিনা। লেবু সাধারণত ভিটামিন সি জাতীয় একটি খাবার। গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের লেবুর রস খেলে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।

গর্ভাবস্থায়-লেবু-খাওয়া-যাবে-কি



আবার গর্ব অবস্থায় বেশি পরিমাণে লেবু খেলে গর্ভবতী মহিলাদের গ্যাস্টিক এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও লেবু আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর উৎস পূরণ করে থাকে। লেবু খাবার অনেক উপকারিতা এবং বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আরো পড়ুনঃখালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায়  লেবুর রস খেলে কি হয় বা গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি এগুলো প্রশ্ন আমাদের মধ্যে থেকেই থাকে। তবে আজকে আপনাদেরকে লেবুর রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। এবং গর্ব অবস্থায় লেবুর রস খেলে কোন ধরনের সমস্যা হয় কিনা সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। 

লেবুতে আছে ভিটামিন সি এর উৎস যা গর্ভাবস্থায় মেয়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া লেবু টক ধরনের হওয়ায় বমি বমি ভাব থাকলে সেটা দূর করে ফেলে। লেবু খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং খাবারের রুচি বৃদ্ধি করে থাকে। গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়ার বেশ কিছু উপকার রয়েছে।

যেমন ধরেন মেয়েদের দাঁতের সমস্যা দেখা দেয় গর্ভকালীন সময়। এই সময় প্রচুর পরিমাণে তাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং আয়রন ঘাট দেখা যায়। এই সময় লেবু খেলে তাদের দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে এবং শরীরে ঘাটতি পূরণ করে থাকে। গর্ভাবস্থায় মেয়েদেরকে বেশি পরিমাণে লেবু খাওয়া উচিত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী।

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়া যাবে কি প্রশ্নটা আমাদের সবার রয়ে যায়। হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়া যাবে। লেবুর রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিনের উৎস। লেবু কে অন্যতম একটি সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। নবজাতক শিশু এবং গর্ভাবস্থা নারীর জন্য লেবু খাওয়াটা খুবই উপকারী। গর্ভবতী নারী লেবুর রস খেলে যে যে উপকার গুলো পায় তাও উল্লেখ করা হলো :
  • গর্ভকালীন সময়ে অনেক নারী তাদের মুখের রুচি হারিয়ে ফেলে। এর জন্য লেবু খাওয়াটা জরুরী। তাহলে তাদের মুখে রুচি ফিরে আসে। 
  • গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বেশি বমি বমি ভাব দেখায়। এই সময় লেবু খাবারটা তাদের জন্য জরুরি লেবু খেলে তাদের বমি বমি ভাবটি দূর করে থাকে। 
  • লেবু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের হাঁপানি, এলার্জি ও পেটে ব্যথার সমস্যা মুক্তি দিয়ে থাকে। লেবু খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী নারীর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
  • ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য লেবু খাওয়াটা খুবই জরুরী। লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বকের ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এ সময় গর্ভবতী মা লেবুর রস খেলে তাদের ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে পারে। 
  • লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম উপাদান থাকায় গর্ভকালীন সময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে। 
  • লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। 
  • গর্ভাবস্থায় সময় নারীদের বেশিরভাগ হাঁটু ব্যথা,দাঁতে  ব্যথা, ও আয়রনের মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই সময় লেবুর রস খাওয়া তাদের জন্য জরুরী।

লেবুর পুষ্টিগুণ

লেবু তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। উপরে গর্ভাবস্থায় লেবুর রস কেন খাব বা গর্ভাবস্থায়  লেবুর খাওয়া যাবে কি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনাদের সামনে লেবুতে কি পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এবং লেবুতে থাকা ভিটামিন ও ক্যালোরি গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
গর্ভাবস্থায়-লেবু-খাওয়া-যাবে-কি

ভিটামিনপরিমানঃমিলিগ্রাম
ক্যালোরিঃ১৭ক্যালরি
জলীয় অংশঃ৫০-৫৫গ্রাম
কার্বোহাইড্রেটঃ৫.৪গ্রাম
আইরনঃ০.৩মিলিগ্রাম
ফাইবারঃ১.৬গ্রাম
ক্যালসিয়ামঃ১৫মিলিগ্রাম
চিনিঃ১.৫গ্রাম
ম্যাগনেসিয়ামঃমিলিগ্রাম
প্রোটিনঃ০.৬গ্রাম
ফসফরাসঃ১০গ্রাম
ফ্যাটঃ০.২গ্রাম
ভিটামিন সিঃ৩০.৭মিলিগ্রাম
ভিটামিন B6ঃ০.০৪মিলিগ্রাম
ভিটামিন এঃমাইক্রগ্রাম
সাইট্রিক এসিডঃ৫-৬%

গর্ভাবস্থায় কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন

গর্ভকালীন সময় কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন সেই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্টটি লিখেছি। এছাড়াও কি পরিমাণের লেবুর রস খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকার আছে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপর আলোচনা করা হয়েছে। এবং লেবুর রস এ কি পরিমানে পুষ্টিগুণ থাকে এবং কোন কোন ভিটামিন আছে সেই সম্পর্কের উপর আলোচনা করা হয়েছে। 

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন এবং কতটুকু খেলে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারে আসে, এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। 

লেবুর রস তৈরি করতে যে সকল উপাদান প্রয়োজন :

  • একটা কিংবা দুইটা তাজা লেবু। 
  • এক গ্লাস অথবা দুই গ্লাস পানি, গরম হোক কিংবা ঠান্ডা আপনার পছন্দ অনুযায়ী। 
  • এক চিমটি লবণ, আপনার স্বাদ অনুযায়ী বেশিও দিতে পারেন। 
  • তার সাথে এক অথবা দুই ফোঁটা মধু,সাথে আপনি চিনি অথবা বড় মিক্স দিতে পারেন। 

প্রস্তুত করার নিয়ম :

  • সর্বপ্রথম আপনাকে লেবুগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • তারপর লেবুটাকে আপনি ছোট ছোট পিস আকারে কেটে নিতে হবে। 
  • এবং তার থেকে রস গুলো বের করে নিতে হবে। 
  • লেবুর রস বের করার জন্য আপনি যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন এবং হাত দিয়ে চিপে বের করতে পারেন। 
  • তারপর আপনি দুই অথবা এক গ্লাস পানি নিয়ে রসগুলো পানিতে মিশিয়ে নিন। 
  • লেবুর রস মিশানোর জন্য আপনি ঠান্ডা অথবা গরম পানি ব্যবহার  করতে পারেন। 
  • সমস্ত উপাদান গুলো একত্রে মিশিয়ে নিন এবং গ্লাসে ঢেলে নিন। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায়  লেবু খাওয়ার অনেক বিশেষ গুণ রয়েছে যা আমাদের সকলের জানা আছে আবার কারো কারো জানা নেই। গর্ভ অবস্থায় লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলাদের হাঁটু ব্যথা, এলার্জি, ও বমি বমি হওয়া এ সকল ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান মিলতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায়  ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লেবু খাওয়াটা জরুরী।

কারন গর্ভকালীন সময় মহিলাদের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত লেবু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। এবং লেবুতে থাকা পুষ্টিগুণ গর্ভকালীন সময়ে মা এবং শিশু উভয়েরই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়া লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে মানসিক ক্লান্তি দূর হয়ে থাকে।

গর্ভকালীন সময়ে লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে যেমন ধরেন বমি বমি ভাব, মুখের রুচি হারিয়ে যাওয়া, হাঁটু ব্যথা, মাথা ব্যথা সহ আরো অন্যান্য সমস্যার জন্য লেবুর রস করে খাওয়াটা জরুরী। কারণ লেবুতে থাকা এসিড আমাদের মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায়  লেবুর রস খাওয়াটা গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই উপকারী।

এছাড়াও গর্ভকালীন সময় মা এবং শিশু উভয়ের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ভিটামিন গর্ভকালীন সময় মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। যেমন ধরেন হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভকালীন সময় মহিলাদের বড় সমস্যা হচ্ছে হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং রুচি এই দুইটির জন্য লেবু খুবই উপকারী।

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অপকারিতা

উপরে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি এ বিষয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। তবে লেবু খাবার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে। লেবু খেলে যেরকম উপকার হয় ঠিক সেরকম বেশি পরিমাণে খেলে তার সাইড ইফেক্ট আছে। আজ আপনাদের সামনে লেবু খাওয়ার সাইড ইফেক্ট কথা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • এসিডিটিঃলেবুর রস উচ্চমাত্রায় এসিড রয়েছে। অনেক মহিলাদের গ্যাস্টিক এবং এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে গর্ভাবস্থায়। অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে তাদের গ্যাস্টিক, জ্বালাপোড়া ও পেন ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • এলার্জি ঝুঁকিঃযেসব মহিলাদের এলার্জি আছে তাদের জন্য লেবুর রস টি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ গর্ভকালীন সময় তাদের চুলকানি ও শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে ।এটা মা এবং শিশু ভয়ের জন্য ক্ষতিকর। 
  • পেটের সমস্যাঃগর্ভাবস্থায় লেবুর ওষুধ বিরক্ত পরিমানে খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এতে গর্ভবতী মহিলার ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য মতো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • দাঁতের ক্ষতিঃগর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া অপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দাঁতের জন্য ক্ষতি। লেবুতে রয়েছে উচ্চ এসিডিটি। এটা আমাদের দাঁতের এমাল্ড ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। সর্বস্থায় সাধারণত মহিলাদের হরমোন পরিবর্তনশীল থাকে। তাই এই সমস্যাটা কি বেশি পরিমাণে দেখা দেয়। 
  • পুষ্টি সমস্যাঃগর্ভাবস্থায় মহিলা যদি বেশি পরিমাণে লেবুর রস খেয়ে থাকে তাহলে তার পুষ্টিকর খাবারের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অন্যান্য পুষ্টি  নেওয়া জরুরী। বেশি পরিমাণে লেবুর রস খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। 

গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করা কি নিরাপদ 

গর্ভকালীন সময় মহিলাদের স্বাস্থ্যর থেকে বেশি পরিমাণে খেয়াল রাখতে হয়। গর্ব অবস্থায় লেবুর রস পান করা নিরাপদ কিনা। এই কথাটা জানা আমাদের জন্য জরুরী কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের নানান ধরনের পুষ্টির চাহিদার জন্য নানান ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। আর গর্ভকালীন সময় তাদের শরীরের যত্ন নেওয়াটা খুবই জরুরী। 

গর্ভকালীন সময় লেবুর রস পান করাটা সাধারণত নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। তবে অনেক কিছু বিষয়ে আছে সেগুলো সবসময় মাথায় রাখতে হবে। আপনি কখনো অবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস খাবেন না।কারণ এটা আপনাদের দাঁতের এমাল্ড নষ্ট করে ফেলে। এছাড়াও গর্ব অবস্থায় মহিলাদের এসিডিটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
আবার অনেক ধরনের মহিলাদেরকে দেখা যায় যাদের এলার্জি সমস্যা আছে। তারা সব সময় লেবুর রস এড়িয়ে চলবেন এবং লেবুকে এড়িয়ে চলবেন গর্ভাবস্থায়। তা না হলে আপনাদের চুলকানি এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। হ্যাঁ লেবু খাওয়ার মাধ্যমে মা এবং শিশু উভয়ের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাক। তো আপনার সমস্যা থাকলে খাওয়ার দরকার নেই। 

সুতরাং সব পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করা নিরাপদ কিন্তু স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে।যদি আপনি গর্ব অবস্থায় সঠিক পরিমাণে লেবু খান এবং লেবুর রস পান করেন  তাহলে আপনার কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার আগে করণীয় 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার আগে যে করণীয় গুলো করা দরকার সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য ভিটামিনের উচ্চ থাকার কারণে লেবু খাওয়া আগে আমাদের যেগুলো করণীয় সেগুলো হলঃ
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবেঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যের সমস্যা সমাধানের জন্য।
  • পরিমাণ অনুযায়ী লেবুর খাওয়া উচিতঃগর্ভাবস্থায় একজন মহিলা দিনে দুই থেকে এক গ্লাস লেবুর শরবত করে খেতে পারে।
  • লেবু ভালো করে ধুয়ে নিতে হবেঃ লেবুর রস করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে কারণ লেবুতে থাকা জীবাণু, রসে সঙ্গে গর্ভকালীন মহিলার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • এলার্জির পরীক্ষা করুনঃ গর্ভকালীন অবস্থায় যেগুলো নারীর লেবুতে এলার্জি তারা সবসময় লেবু এড়িয়ে চলতে হবে।
  • দাঁতের যত্ন নিনঃ গর্ভকালীন অবস্থায় লেবুর রস খাওয়ার পরে ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার না করলে দাঁতের এমাল্ড নষ্ট করে দেয়।

গর্ভাবস্থায় লেবুর বিকল্প হিসেবে কি খাবেন

গর্ভকালীন সময় লেবুর রস কিংবা লেবু খাওয়াটা মা এবং শিশু উভয়ের জন্য উপকারী। তবে আপনি যদি লেবু না পান তাহলে তার বিকল্প হিসেবে কিছু ফল আছে যেগুলো আপনি খেতে পারেন। যেমন ধরেন পিয়ারা, কমলা লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, বেল, তরমুজ, আনারস ইত্যাদি জাতীয় ফলগুলো খেতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় লেবু বিকল্প হিসেবে কি খাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • পেয়ারাঃ লেবুর বিকল্প হিসেবে আপনি পিয়ারা খেতে পারেন. কারণ কি এরাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি. পেয়ারা মিষ্টি এবং টক থাকায় লেবুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন.
  • কমলালেবুঃ লেবুর মত কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। কমলালেবুর স্বাদ এবং লেবুর স্বাদ কমবেশি একই রকম হয়ে থাকে। তাই লেবুর বিকল্প হিসেবে কমলালেবু খেতে পারেন।
  • স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। স্ট্রবেরিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের নানান ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। স্ট্রবেরিতে লেবুর মত এসিডিটি রয়েছে তবে স্ট্রবেরি একটু হালকা মিষ্টি টাইপের হয়ে থাকে।
  • আনারসঃ আনারস মিষ্টি এবং টক মিশ্রণে তৈরি। লেবুর বিকল্প হিসেবে আনারস খেতে পারেন। তবে আনারস গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে না খাওয়াটাই ভালো।
  • তরমুজঃ তরমুজ একটি পানি জাতীয় ফল, গর্ভাবস্থায় নারীদের পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য তরমুজ খাওয়া উচিত। কারণ তরমুজ গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের হাইড্রেট ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • বেলঃ একটি হজম জাতীয় ফল, এই ফলটি প্রায় আমাদের সকলের কাছে পরিচিত একটি ফল। বিশেষ করে গরমের সময় আমাদের শরীর ঠান্ডা করতে এবং আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বেল খেয়ে থাকি। তবে গর্ভাবস্থায়  বেলের শরবত লেবুর মত শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে থাকে।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে, গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি বা লেবু খেলে কি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তবে গর্ব অবস্থায় লেবুর রস খাওয়া যাবে, তবে সেটা পরিমাপ মুক্ত হতে হবে। উচ্চ পরিমাণে কোন জিনিস খাওয়াই ভালো না সেটা হোক লেবু বা অন্য কোন জিনিস।

ডাক্তারের পরামর্শ  অনুযায়ী লেবুর রস খাওয়া বা লেবু খাওয়া যাবে। তবে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার জন্য বা মা এবং শিশু উভয়েরই পুষ্টির যোগান দেওয়ার জন্য লেবু খাওয়াটা জরুরী। এছাড়াও আপনি লেবুর বিকল্প হিসেবে আরো কিছু ফল আছে যেগুলো খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url