দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত
দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত, আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশগুলোতে
যেতে চাই তাদের সাধারণ একটি কমন প্রশ্ন থাকে সেটি হল টাকার রেট কত বাংলাদেশের
তুলনায়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টাকার রেট
অনেকটাই বেশি। ঠিক সেই কারণে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী মানুষ বিদেশে
পাড়ি দিয়ে থাকে।
পেজ সূচিপত্রঃ
- দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত
- দুবাই টাকার রেট বাংলাদেশ ২০২৫
- দুবাই দেশটি কোথায় অবস্থিত?
- দুবাই দিরহাম থেকে বাংলাদেশি টাকা এক্সচেঞ্জ রেট
- দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
- দুবাই ১২০০ দিরহাম বাংলাদেশী টাকা
- কেন বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে কাজে গিয়ে থাকেন?
-
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা খরচ হয়
-
বাংলাদেশ থেকে দুবাই সময়ের ব্যবধান কত
-
শেষ কথা:
দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত
সাধারণত প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে দুবাই কাজের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ যাত্রা করে
থাকে। তারা শুধুমাত্র তাদের জীবনের শেষ সময় ভালোভাবে থাকার জন্য অর্থ উপার্জন
করতে দুবাই গিয়ে থাকে। আমরা অনেকেই জানি দুবাইয়ের টাকা বাংলাদেশের থেকে দাম
কিছুটা বেশি থাকে। কিন্তু কতটা বেশি হয় সেটা আমাদের জানার আগ্রহ রয়েছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত।
দুবাই সাধারণত টাকা বলা হয় না দুবাইয়ের লোকজন তাদের টাকা দিলাম বলে থাকে।
দুবাইয়ের ১ টাকা সমান বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ৩৩.১৬ পয়সা । যা
বাংলাদেশের টাকার তুলনায় অনেকটাই বেশি। দুবাই সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাজের
উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে গিয়ে থাকে টাকা ইনকাম করার আশায়।
দুবাই টাকার রেট বাংলাদেশ ২০২৫
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রা দিরহামের (AED) বাংলাদেশি
টাকায় রূপান্তর হার প্রায় ৩৩.১৬ টাকা। অর্থাৎ, ১ দিরহাম প্রায় ৩৩ টাকা ১৬
পয়সা সমান। এই রেট বিভিন্ন ব্যাংক, বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি মোবাইল
ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রেরণ ও প্রাপ্তির সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে
পারে।
- দুবাই দিরহাম থেকে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর হার ২০২৫
পরিমাণ (AED) | বাংলাদেশি টাকা (BDT) |
---|---|
১ দিরহাম | ৩৩.১৬ টাকা |
১০ দিরহাম | ৩৩১.৬০ টাকা |
১০০ দিরহাম | ৩,৩১৬ টাকা |
৫০০ দিরহাম | ১৬,৬১১.২৩ টাকা |
১,০০০ দিরহাম | ৩৩,১৬০ টাকা |
১০,০০০ দিরহাম | ৩,৩১৬০০০ টাকা |
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে, ১ দিরহাম প্রায় ৩৩.১৬ টাকা সমান। রেমিট্যান্স প্রেরণ ও
প্রাপ্তির সময় রেট কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সর্বশেষ রেট জানার জন্য
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা
অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।
দুবাই দেশটি কোথায় অবস্থিত?
দুবাই হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি প্রখ্যাত শহর এবং এ দেশটির সাতটি আমিরাতের
মধ্যে অন্যতম। এটি মধ্যপ্রাচ্যের আরব উপদ্বীপের পূর্ব তীরে পারস্য উপসাগরের
তীরে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে, দুবাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও পর্যটন
কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। শহরটি উত্তর-পশ্চিম দিকের মঙ্গোলিয়ান মরুভূমি এবং
পারস্য উপসাগরের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থান করছে।
দুবাই শহরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী নয়, তবে এটি অর্থনীতি, বিনিয়োগ,
বাণিজ্য, ও পর্যটনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে
আধুনিক এবং আভিজাত্যপূর্ণ নগরগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়। এখানে আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর, বিশাল মল, আলাদা আলাদা ব্যবসায়িক অঞ্চল এবং বিশ্বের উঁচুতম ভবন
বুড়্জ খলিফা অবস্থিত।
ভূগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ দুবাইকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য
বিশেষভাবে উপযুক্ত করেছে। সমুদ্রপথে এটি ভারতের, চীনের এবং ইউরোপের সঙ্গে সংযোগ
স্থাপন করতে সহজলভ্য। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের উষ্ণ আবহাওয়া এবং মরুভূমির
সৌন্দর্য বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
দুবাই দিরহাম থেকে বাংলাদেশি টাকা এক্সচেঞ্জ রেট
দুবাইয়ের এক দিরহাম সমান বাংলাদেশের টাকায় হয়ে দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ১৬ পয়সার
মত। এটি সাধারণত 2025 সালে আগস্ট মাসের তথ্য অনুযায়ী জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের মুদ্রা সাধারণত প্রত্যেক বছর অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মানে এক্সচেঞ্জ
রেট এর উপর নির্ভর করে টাকার রেট উঠানামা করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের
টাকার মান ৩৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের তুলনায় দুবাইয়ের দিরহামের রেট বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে
প্রত্যেক বছর হাজার হাজার তরুণ এবং শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই পাড়ি দিয়ে
থাকে। দুবাই সাধারণত উচ্চ বেতন এবং নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কারণে
প্রত্যেক বছর হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ করা হয়ে থাকে দুবাইয়ে। দুবাই সাধারণত
আরব আমিরার একটি অঙ্গরাজ্য। বর্তমান সময়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে দুবাই অন্যতম।
এছাড়া আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই গিয়ে কাজ কাম করতে চান তাহলে আপনি আপনার
বেতনটি মানি এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন। এটি সাধারণত
ব্যাংকিং সেবার একটি উৎস। যার মাধ্যমে খুব সহজে এক দেশ থেকে অন্য দেশের টাকা
পাঠানো যায় এটি এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।
দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
অনেক সময় আমরা যখন কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে দুবাই গিয়ে থাকি। তখন
আমাদের মনে একটি প্রশ্ন থাকে প্রশ্নটি হল দুবাইয়ের দিরহাম সমান বাংলাদেশি কত
টাকায়। আপনারা যারা অজানা আছেন তাদেরকে এই যে এই তথ্যটি জানানো যাচ্ছে যে
দুবাইয়ের ১০০ দিরহাম সমান বাংলাদেশি টাকায় আসে ৩৩১৬ টাকা। যেটি বাংলাদেশি
অনেক টাকা হয়ে দাঁড়ায়।
দুবাই বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, টি সাধারণত তাদের খনিজ
সম্পদের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। তাছাড়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা উচ্চ বেতন ও
নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় দুবাই গিয়ে কাজ করে থাকে। দুবাইয়ের
১০০ দিরহাম সমান বাংলাদেশি টাকায় যখন ৩৩১৬ টাকা হয় তখন বাংলাদেশে কাজ করার
থেকে বিদেশে খাটা অনেক ভালো।
দুবাই ১২০০ দিরহাম বাংলাদেশী টাকা
২০২৫ সালে দুবাই দিরহামের রূপান্তর হার অনুযায়ী ১ দিরহাম প্রায় ৩৩.১৬ টাকা
সমান। এই হারে হিসাব করলে, ১২০০ দিরহাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৯,৭৯২ টাকা
হয়। এই হিসাব প্রায়তিলাভিক, কারণ ব্যাংক, বিকাশ, রকেট বা অন্যান্য
রেমিট্যান্স সেবা ব্যবহার করলে সামান্য ভিন্ন রেট প্রযোজ্য হতে পারে।
দুবাই থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণ বা গ্রহণের সময় এই রূপান্তর হার জানা
গুরুত্বপূর্ণ। বড় অঙ্কের লেনদেনে ছোটখাটো রেট পার্থক্যও মোট টাকায় বড়
প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, ১২০০ দিরহামের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাওয়া
যায়, যা দৈনন্দিন জীবনে বড় সহায়তা হিসেবে কাজে লাগে।
রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বিকাশ, রকেট, ব্যাংকিং চ্যানেল অথবা মানি ট্রান্সফার
কোম্পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাশ আউট চার্জ, ট্রান্সফার ফি এবং
সার্ভিসের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী প্রকৃত পাওয়া টাকা কিছুটা পরিবর্তিত হতে
পারে।দুবাই ১২০০ দিরহাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৯,৭৯২ টাকা এবং সঠিক রেট
জানার জন্য সর্বদা অফিসিয়াল বা নির্ভরযোগ্য সেবা ব্যবহার করা উচিত।
কেন বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে কাজে গিয়ে থাকেন?
বাংলাদেশিরা বহু বছর ধরে দুবাইয়ে কাজের জন্য যাচ্ছেন। এর প্রধান কারণ হলো
উন্নত বেতন, সুনিশ্চিত কাজের সুযোগ এবং উন্নত জীবনযাত্রার সুবিধা।
বাংলাদেশে অনেক পেশায় সীমিত বেতন এবং চাকরির অভাব থাকায় যুবকরা বিদেশে
কাজ করার পথ বেছে নেন।দুবাইয়ের অর্থনীতি বহুমুখী এবং এখানে নির্মাণ, সেবা,
স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান প্রচুর।
এ কারণে দক্ষ ও অদক্ষ দুই ধরনের শ্রমিকের জন্যই এখানে চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশিরা সহজে কাজের অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে চাকরি পেতে পারেন।দুবাইয়ের
পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুবিধাও আকর্ষণীয়। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে
প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। এ কারণেই বাংলাদেশিরা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কাজের
জন্য দুবাইতে যাত্রা করেন।
উন্নত বেতন, কাজের সুযোগ, নিরাপদ পরিবেশ এবং পরিবারের জন্য অর্থ পাঠানো এই
সব কারণে বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা খরচ হয়
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভ্রমণ বা চাকরির জন্য যাওয়ার সময় খরচ মূলত তিনটি
প্রধান খাতে ভাগ হয়: বিমান ভাড়া, ভিসা ফি এবং প্রাথমিক জীবনযাত্রার
খরচ। ২০২৫ সালে সাধারণত ঢাকা থেকে দুবাইয়ের একটি রিটার্ন ফ্লাইটের খরচ
প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা হতে পারে, যা এয়ারলাইনের ধরণ এবং সময়
অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
আর পড়ুনঃকাতারে যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রায় ১৫,০০০ থেকে
২০,০০০ টাকা হতে পারে। এছাড়াও, আগমনের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহের খাবার,
বাসস্থান এবং পরিবহন খরচ প্রায় ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা হিসাব করে রাখা
উচিত।সর্বমোট হিসাব করলে, বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে প্রায় ৭০,০০০ থেকে
১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই সময়ের ব্যবধান কত
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভ্রমণের সময় মূলত নির্ভর করে যাত্রার মাধ্যম এবং
ফ্লাইটের ধরণে। সরাসরি ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছাতে প্রায়
৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময় ফ্লাইটের ধরন, বিমান কোম্পানি এবং
আবহাওয়ার উপর সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।যদি স্টপওভার বা সংযোগ
ফ্লাইটের মাধ্যমে যাত্রা করা হয়, তবে পুরো যাত্রার সময় ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা
পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়া একটি জনপ্রিয় পথ, কারণ এটি ব্যবসা, পর্যটন এবং
কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।উচ্চ মর্যাদার এয়ারলাইনের সঙ্গে
সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিলে সময় সাশ্রয় হয়। এছাড়াও, আগমনের সময় দুবাই
স্থানীয় সময় অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ২ ঘণ্টা পিছিয়ে থাকে। অর্থাৎ,
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ফ্লাইট শুরু করলে দুবাইয়ে স্থানীয়
সময় প্রায় দুপুর ১টায় পৌঁছানো যায়।
শেষ কথা:
পরিশেষে বলা যায় যে, এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন দুবাইয়ের
১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয়। এছাড়া দুবাইয়ের যাবতীয় তথ্য এ
প্রশ্নের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন কাজের
উদ্দেশ্যে কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি
উপযুক্ত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url