ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে
ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে।ভারত এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাধারণ
বা পর্যটন ভিসা চালু করেনি, শুধুমাত্র জরুরি বা চিকিৎসা উদ্দেশ্যে মেডিকেল ভিসা
সীমিত পরিসরে প্রদান করছে।
ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, পর্যটন ভিসা পুনরায়
চালু করা হবে। এখনো নয় এবং পুরো প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ততক্ষণ পর্যন্ত সীমিত থাকবে
যেভাবে রিজার্ভেশন স্বাভাবিক হয়ে না যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ
- ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে।
- ইন্ডিয়ান ভিসা কবে পুনরায় চালু হতে পারে।
- ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে।
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে ২০২৫
- ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ
- ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং
-
ইন্ডিয়ায় কোন কোন ভিসা পাওয়ার সহজ
-
বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে কোন দেশে যাওয়া যায় ভিসা ছাড়া
-
উপসংহারঃ
ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা কবে চালু হবে এটি বর্তমানে একটি বহুল
আলোচিত প্রশ্ন। ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য সাধারণ ভিসা পরিষেবা স্থগিত
রেখেছে। যদিও মেডিকেল, বিজনেস এবং জরুরি প্রয়োজনে সীমিত ভিসা প্রদান চলছে, কিন্তু
পর্যটন বা ভ্রমণ ভিসা এখনও চালু হয়নি।
ভারতের হাই কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে তারা বর্তমানে তাদের ভিসা কার্যক্রম ধাপে
ধাপে স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা
হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা পরিষেবা পুরোপুরি চালু করতে হলে
নিরাপত্তা, জনবল ও কনস্যুলার সিস্টেম আপডেট করা দরকার।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আশার কথা হলো দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক
থাকায় শিগগিরই ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা চালু
হওয়ার আপডেট পেতে নিয়মিত ভারতীয় হাই কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা এবং
সংবাদ মাধ্যমে চোখ রাখা জরুরি।
ইন্ডিয়ান ভিসা কবে পুনরায় চালু হতে পারে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসা কবে পুনরায় চালু হতে পারে, এই প্রশ্ন
এখন অনেকের মনেই। বর্তমানে ভারত শুধুমাত্র মেডিকেল, বাণিজ্যিক ও বিশেষ ক্যাটাগরির
ভিসা সীমিতভাবে দিচ্ছে। পর্যটন, সাধারণ ভ্রমণ বা শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে ভিসা এখনো
স্থগিত রয়েছে।ভারতের হাই কমিশন জানিয়েছে, ভিসা পরিষেবা ধাপে ধাপে পুনরায় চালু
করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময় এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, সুষ্ঠু প্রশাসনিক সমন্বয় এবং ভিসা সেন্টারে
জনবল সংকট কাটলে ভিসা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০২৫
সালের শেষ নাগাদ বা তারও আগে পর্যটন ভিসা চালুর সম্ভাবনা রয়েছে, যদি দ্বিপক্ষীয়
সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকে। বাংলাদেশ সরকারও ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে যাতে
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত স্বাভাবিক হয়।
তবে ভিসা পেতে আগ্রহীদের ভারতীয় হাই কমিশনের অফিসিয়াল নোটিশ ও সংবাদমাধ্যমে নজর রাখা উচিত, যাতে নতুন তথ্য পেলেই দ্রুত আবেদন করা যায়।
ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ সপ্তাহ লাগে,
তবে এটি ভিসার ধরন ও আবেদনকারীর প্রোফাইলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
মেডিকেল, বিজনেস ও কনফারেন্স ভিসা সাধারণত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩–৫ দিনের মধ্যে
প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, ট্যুরিস্ট বা ট্রাভেল ভিসার ক্ষেত্রে সময় কিছুটা
বেশি লাগতে পারে, বিশেষ করে আবেদনকারীর ডকুমেন্ট যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিলম্ব
হলে।
বর্তমানে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে প্রচুর আবেদন জমা পড়ার কারণে অনেক সময়
প্রসেসিংয়ে অতিরিক্ত সময় লাগছে। আবার, যেসব আবেদনকারী পূর্বে একাধিকবার ভারত
সফর করেছেন, তাদের জন্য সাধারণত দ্রুত অনুমোদন মেলে।তবে সঠিক ও সম্পূর্ণ
কাগজপত্র জমা দিলে এবং আবেদন জমাদানের পর নিয়মিত স্ট্যাটাস চেক করলে ভিসা পেতে
দেরি হয় না। তাই ভিসা পাওয়ার সময় নির্ভর করে দক্ষ আবেদন ও সঠিক প্রক্রিয়ার উপর।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে সাধারণত ৩
থেকে ৭ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে এটি নির্ভর করে আবেদনকারীর কাগজপত্র, হাসপাতাল
ইনভিটেশন লেটার এবং ভিসা সেন্টারের সার্ভিস গতির উপর। বর্তমান পরিস্থিতিতে
ভারতীয় হাই কমিশন মেডিকেল ভিসাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, কারণ এটি মানবিক ও জরুরি
প্রয়োজনে পড়ে।
যারা ভারতীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, তাদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রের
সঠিক ইনভিটেশন লেটার, পাসপোর্ট, ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র জমা দিলে ভিসা
দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার পর
প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই মেডিকেল ভিসা হাতে পাওয়া যাচ্ছে।ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে।
ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে বাংলাদেশি নাগরিকদের কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে
হয়।এর মধ্যে রয়েছেঃ
- বৈধ পাসপোর্ট মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পূরণকৃত অনলাইন ভিসা আবেদনপত্র।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ।
- প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাসপাতালের ইনভিটেশন লেটার।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্রাভেল বুকিং ডকুমেন্ট
- প্রতিটি কাগজপত্র স্পষ্ট ও হালনাগাদ থাকতে হবে, ইত্যাদি।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ
২০২৫ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার খরচ
তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য রাখা হয়েছে। একবার প্রবেশের Single Entry টুরিস্ট
ভিসার সরকারি ফি প্রায় ৮০০ টাকা INR 600 যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,২০০
থেকে ১,৪০০ টাকা টাকার মান অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। এছাড়া, ভিসা প্রসেসিং
ফি, ভিএফএস সার্ভিস চার্জ এবং ব্যাংক ফি সহ মোট খরচ দাঁড়ায় প্রায় ২,৫০০
থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে, মাল্টিপল এন্ট্রি বা লংটার্ম টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ কিছুটা বেশি হতে
পারে। আবেদনকারীদের অবশ্যই অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে নির্দিষ্ট ফি প্রদান
করতে হয়। ভিসা ফি একবার জমা দিলে তা ফেরতযোগ্য নয়।সর্বশেষ আপডেট ও
নির্ভুল খরচ জানতে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখার
পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ ও
প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। আবেদনকারীদের প্রথমে indianvisa
bangladesh.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। এরপর
প্রিন্ট কপি নিয়ে নির্ধারিত তারিখে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে IVAC জমা দিতে
হয়। সঠিক ডকুমেন্ট থাকলে সাধারণত ভিসা প্রসেসিংয়ে সময় লাগে ৫,৭
কার্যদিবস।
মেডিকেল ও বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে এই সময় আরও কম হতে পারে। আবেদন জমার পর
পাসপোর্ট ও আবেদন ফর্ম ট্র্যাকিংয়ের সুবিধাও রয়েছে। যেকোনো ভুল বা
অসম্পূর্ণতা ভিসা পেতে দেরির কারণ হতে পারে।বর্তমানে আবেদনকারীদের ভিড় অনেক
বেশি হওয়ায় আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা জরুরি। তাই নির্ভুল তথ্য ও পূর্ণ
ডকুমেন্টসহ আবেদন করলেই ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং হয় দ্রুত ও সহজভাবে।
ইন্ডিয়ায় কোন কোন ভিসা পাওয়ার সহজ
২০২৫ সালে ইন্ডিয়ায় কিছু ভিসা পাওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়েছে, বিশেষ করে
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ হচ্ছে মেডিকেল ভিসা ও
টুরিস্ট ভিসা। প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি ভারত যায় চিকিৎসা ও ভ্রমণের
উদ্দেশ্যে, তাই এসব ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ ও অনুমোদন দ্রুত হয়।
এছাড়াও বিজনেস ভিসা ও কনফারেন্স ভিসা পেতে অনেকটাই সহজ, যদি সঠিক ডকুমেন্ট
থাকে এবং আমন্ত্রণপত্র প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্ভরযোগ্য হয়। সম্প্রতি
ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং ব্যবস্থায় আধুনিকতা আনা হয়েছে, ফলে অনলাইনে আবেদন,
ট্র্যাকিং এবং তথ্য যাচাই খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হলো যে কোনো ভিসা পেতে হলে আবেদনকারীর কাগজপত্র নির্ভুল, তথ্য সঠিক ও
উদ্দেশ্য স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে কোন দেশে যাওয়া যায় ভিসা ছাড়া
২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বেশ কয়েকটি দেশে ভিসা
ছাড়াই বা অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন। এসব দেশের
তালিকা প্রতিনিয়ত আপডেট হয়, তবে নিচের দেশগুলোতে সাধারণভাবে বাংলাদেশের
নাগরিকরা সহজে প্রবেশ করতে পারেনঃ
ভিসা ছাড়াই ভ্রমণযোগ্য দেশসমূহঃ
- ভুটান
- মালদ্বীপ ৩০ দিন পর্যন্ত।
- ডোমিনিকা ২১ দিন পর্যন্ত।
- হাইতি ৯০ দিন পর্যন্ত।
- সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস ৩০ দিন পর্যন্ত,
- কুক দ্বীপপুঞ্জ ৩১ দিন পর্যন্ত।
- নিউয়ে দ্বীপপুঞ্জ ৩০ দিন পর্যন্ত।।
- মাইক্রোনেশিয়া ৩০ দিন পর্যন্ত।
- গাম্বিয়া ৯০ দিন পর্যন্ত।
- পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জ।
অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা প্রদানকারী দেশঃ
- নেপাল
- সিয়েরা লিওন
- কম্বোডিয়া
- তিমোর লেস্তে
- গিনি বিসাউ
- ক্যাপ ভার্দে
- লাওস
- ইরান
- কেনিয়া
- উগান্ডা
- পাকিস্তান
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে, ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে এই প্রসঙ্গে অনেক কথা
বলা হয়েছে। তাছাড়া ইন্ডিয়ান ভিসা চালু করার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ইন্ডিয়ান ভিসা
কবে চালু হবে এই বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে এবং বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
তাছাড়া ইন্ডিয়াতে যাওয়ার জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন সেই সম্পর্কে
উল্লেখ করা আছে।
মূলত এই পোস্টগুলো লেখার কারণ হলো যারা ইন্ডিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে
চান তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটির
মাধ্যমে আপনাদের সাহায্য করতে পারব ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url